জানা যায়, ওই যুবকের বাবা সরফরাজ আলমের সঙ্গে তার স্ত্রীর সামিমা বিবির কয়েক বছর আগে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সরফরাজ আলম অন্য এক জায়গায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিল ছেলে রাজ মোমিন । 

বাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করেছিল ছেলে। আর তার জেরে বাড়ির একমাত্র ছেলেকে শ্বাসরোধ করে শোয়ার ঘরে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে । রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার মোজামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহি এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা সরফরাজ আলম এবং কাকা ডনি মোমিনের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত যুবকের মামা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃতের যুবকের নাম রাজ মোমিন। বয়স ২০ বছর। দুই বছর আগে মাধ্যমিক স্তরের মাদ্রাসা পরীক্ষা শেষ করেই তার বাবার ইলেক্ট্রিকের দোকানের ব্যবসা দেখভাল করতেন। জানা যায়, ওই যুবকের বাবা সরফরাজ আলমের সঙ্গে তার স্ত্রীর সামিমা বিবির কয়েক বছর আগে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সরফরাজ আলম অন্য এক জায়গায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিল ছেলে রাজ মোমিন । কিন্তু প্রতিবাদ করতেই তার জুটতো মারধোর। কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বিয়ে করে সরফরাজ আলম। সেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করাতেই ওই যুবককেই শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ঘরের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

মৃতের মামা সামিম নাদাব এবং এক মাসি শাবানা বিবি জানিয়েছেন, তার দিদিকে জামাইবাবু সারফারাজ আলম অনেকদিন আগেই মারধর দিয়ে তাড়িয়ে দেয় । ভাগ্নে রাজ মোমিন ইলেকট্রিকের ব্যবসা দেখভালের জন্য বাবার সঙ্গে থাকতো। মাঝেমধ্যে তার মায়ের সঙ্গে আসতো দেখা করতে। কিন্তু তার এক কাকা ডনি মোমিন এবং জামাইবাবু সরফরাজ আলম রাজ মোমিনের ওপর নানান অজুহাতে অত্যাচার চালাচ্ছিল। কারণ, আমার জামাইবাবু দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। এনিয়ে প্রতিবাদ করেছিল ভাগ্নে। রবিবার রাতে ওদের বাড়িতেই ভাগ্নেকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ঘরের সিলিং এর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।