স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে নিজে ইস্তফা না দিলে তাঁর উপর হামলা হবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে বলে দাবি গোসাবার দয়াপুর পি সি সেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালিপদ সর্দারের।
ছাত্র নয়, মাস্টারও নয়। স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছেন খোদ প্রধান শিক্ষক। বাড়িতেই রয়েছেন। পাশাপাশি থানাপুলিশও করছেন। স্কুলের পঠনপাঠনের অবনতি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ছিল স্কুলটি। কিন্তু বর্তমানে স্কুল থেকে এলাকার মানুষের পাশাপাশি মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষও।
'একদিন মুখ খুলবেই', আরজি করের নির্যাতিতার জন্মদিনে সঞ্জয় রায়কে নিয়ে বড় আশা বাবা ও মায়ের
অভিযোগ সহ শিক্ষকরা তাঁকে মারধর এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে নিজে ইস্তফা না দিলে তাঁর উপর হামলা হবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে বলে দাবি গোসাবার দয়াপুর পি সি সেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালিপদ সর্দারের। এ বিষয়ে স্কুলেরই দুই শিক্ষক ব্রজেন হালদার ও অভিষেক মাইতির বিরুদ্ধে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গত বৃহস্পতিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই পরিস্থিতিতে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছেন কালিপদ। আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে পড়াশুনা লাটে উঠেছে।
৫০০০ টাকা নিয়ে কী করছেন ডাক্তাররা? তদন্তে পুলিশের তলব জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ৭ জনকে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১৬ই জানুয়ারি স্কুলে দুই শিক্ষকের মধ্যে বচসা হয়, ঝামেলা হয় পড়ুয়াদের সামনেই। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার পরদিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে যান নি। কিন্তু পরদিনই স্কুলের গেটে কে বা কারা তালা মেরে দেন। অনেক শিক্ষকই সেদিন স্কুলে ঢুকতে পারেন নি। প্রধান শিক্ষকের দাবি এরপর অভিষেক তাঁকে হুমকি মেসেজ করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ ছেড়ে দিতে বলেন। না ছাড়লে অসুবিধায় পড়তে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। ব্রজেন ও অভিষেক লাগাতার তাঁকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ কালিপদর। যদিও স্কুলে কে বা কারা তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছিল তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয় বলেও জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
