Adulterated Ghee: বাঙালির পাতে ঘি ছাড়া জমে নাকি? সে ভাত দিয়ে হোক কিংবা অন্য কোনও উপকরণ, অনেকক্ষেত্রেই ঘি (Ghee) যেন একেবারে মাস্ট।

Adulterated Ghee: ঘি খাবেন? কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। অবৈধ এবং জাল ঘি-তে ভরে যাচ্ছে বাজার (Market)। রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আজকাল তো বিরিয়ানিতে উপর থেকে ঘি ছড়ানোটা আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ড। জাল না আসল! কে জানে?

তবে ভেজালের ব্যবসা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ভেজাল ঘি। সেই নদীয়ার ফুলিয়া থেকে চাকদা কিংবা মুর্শিদাবাদ এবং বাদ যাচ্ছে না কলকাতার বড়বাজারও। মিডলম্যানদের জাল কারবার। লোকাল ভেন্ডাররা তো আছেনই, অনেকক্ষেত্রে আবার একাধিক নামী কোম্পানিও সেই ভেজাল ঘি (Adulterated Ghee) বেমালুম কিনে রান্নায় চালিয়ে দিচ্ছে (Ghee)।

পুলিশি অভিযান হলেও সেটা লাগাতার নয়। তাই অধিক মুনাফা লাভ করার জন্য ভেজালের ব্যবসা ছাড়তে পারছেন না ব্যবসায়ীদের একাংশ। জানা যাচ্ছে, নদীয়ার ফুলিয়ায় একাধিক জায়গায় এই ভেজাল ঘি তৈরির কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বুইচা ঘোষপাড়া, সাহেবডাঙা, বেলেমাঠ, বাগানপাড়া এবং বয়ড়া।

কীভাবে তৈরি হয় এই ভেজাল ঘি? ডালডা, পামতেল, ক্ষতিকারক ক্রিম এবং নানা রকমের রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেজাল ঘি। তারপর সেই ভেজাল ঘিয়ের মার্কেটিংও করা হয় রাজ্যের একাধিক জায়গায় (ghee adulteration test fssai)।

সূত্রের খবর, নদীয়ার বিভিন্ন মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভেজাল ঘি। সেখানেই থেমে নেই ব্যাপারটা। লোকাল ভেন্ডারের সাহায্যে সেই ভেজাল ঘি এরপর ভোজ্য ঘি হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। তবে বিষয়টা শুধুমাত্র নদীয়াতেই থেমে নেই। নির্দিষ্ট কিছু ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছেন। তাদের মারফৎ সেই ভেজাল ঘি সাপ্লাই হয়ে যাচ্ছে একদিকে মুর্শিদাবাদ এবং আরেকদিকে কলকাতা পর্যন্ত।

এমনকি, বড়বাজারের পাইকারি বাজারেও টিন টিন সেই ভেজাল ঘি পৌঁছে যায় বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয়টি হল, সেই ভেজাল ঘি কিনে নিচ্ছে একাধিক নামী কোম্পানিও।

যাদের ব্র্যান্ডেড টিন কিংবা কৌটোতে করেই ঐ ভেজাল ঘি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সুপার মার্কেটগুলিতে। কিন্তু এই কারবার আটকাতে গেলে চাই জোরালো প্রমাণ। কিন্তু অনেকসময় সেই প্রমাণই পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকটা সমস্যাও আছে (ghee adulteration and detection)।

আরেকটি সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মদতও অনেক সময় থাকে এই জাল কারবারের পিছনে। অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে চলে এই বেআইনি ব্যবসা। আর তাই ভেজাল জেনেও এক শ্রেণির অসৎ এবং অসাধু ব্যবসায়ী শুধুমাত্র মুনাফার লোভে এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে এটাও ঠিক যে, একাধিকবার গোপন অভিযান চালিয়ে এই জাল কারবার আটকানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরিভাবে কবে বন্ধ হবে? পশ্চিমবঙ্গ মানেই কি দুর্নীতি?

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।