ফাল্গুনী আর তার পিসি শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত।
পিসি শাশুড়িকে খুনের কথা স্বীকার করে নিল দুই মহিলা। পাশাপাশি প্রৌঢ়ার দেহ ট্রলিব্যাহে ঢোকানোর কথাও কবুল করেছে। জেরায় দুই মহিলা জানিয়েছে, অশান্তির জেরেই খুন। জেরায় অভিযুক্ত মা অরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ জানিয়েছে তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর জেরায় দুই মহিলা জানিয়েছেন, মৃতা প্রৌঢ়া সুমিতা ঘোষ তাঁদের আত্মীয়। ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁদের মধ্যমগ্রামের ভাড়াবাড়িতে এসেছিল। ফাল্গুনীর সঙ্গে সুমিতার ঝগড়া হচ্ছিল। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিল ফাল্গুনীর মা আরতি।
ফাল্গুনী আর তার পিসি শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। সুমিতা থাকেন অসমে। বর্ধমানে তাঁর শশুরবাড়ি। দীর্ঘদিন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে ফাল্গুনীও স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না দীর্ঘদিন। তারপরেও কেন পিসি-শাশুড়ির ফাল্গুনীর বাড়িতে এল তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ফাল্গুনী আর সুমিতার মধ্যে ঝগ়ড়া হয়। সেই সময়ে সুমিতাকে ধাক্কা দেয় ফাল্গুনী। পড়েগিয়ে জ্ঞান হারান সুমিতা। তারপর জ্ঞান ফিরলে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। সেই সময়ই ফাল্গুনী মেজাজ হারিয়ে সুমিতাকে ইট গিয়ে মাথা আর ঘাড়ে আঘাত করে। তারপরই জ্ঞান হারান সুমিতা। দুই মহিলার বয়ানের সত্যতা যাচাই করে দেখছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর জেরায় দুই মহিলাই প্রৌঢ়ার দেহ কেটে ট্রলিব্যাগে পোরার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশসূত্রের খবর জেরায় এক মহিলা জিনিয়েছেন, সুমিতার দেহ ট্রলিব্যাগে ঢোকানো যাচ্ছিল না। তাই সুমিতার গোড়ালি থেকে পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সুমিতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মহিলারা যে সব রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছে সেই সব রাস্তার সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জনিয়েছেন, 'সকালে পোর্ট থানায় খবর আসে। ঘটনাটি যেহেতু মধ্যমগ্রামে ঘটেছে তাই সেখানকার পুলিশ বিষয়টি দেখছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। '
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
