স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়া এলাকায় মুজিবর রহমান দাপুটে তৃণমূল নেতা। একসময় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল সে। তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বক্তব্য, কোনও রকম ওয়ারেন্ট ছাড়া মুজিবরকে পুলিশই তুলতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে দিয়েছে।

চোপড়ায় অভিযুক্ত মুজিবর রহমানকে পুলিশের ভ্যান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য। প্রশ্ন উঠেছে কতটা প্রভাবশালী এই মুজিবুর রহমান? তার উত্তর মিলল নানাভাবে। পুলিশের দাবি অভিযুক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতী। কিন্তু তৃণমূল বিধায়কের দাবি ওই ব্যক্তি নির্দোষ। কার কথা সত্যিই সেটাই বুঝে ওঠা দায়। শনিবার চোপড়ায় মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করতে গিয়েই বাধার মুখে পড়তে পুলিশকে। পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে একদল গ্রামবাসী। তারা কি আদৌ আমজনতা নাকি অভিযুক্তের দলবল তার অবশ্য এখনও সদুত্তর পাওয়া যায় নি। কিন্তু অভিযুক্ত এই মুজিবর রহমান কতটা প্রভাবশালী তা গ্রেফতারে গিয়ে টের পেয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়া এলাকায় মুজিবর রহমান দাপুটে তৃণমূল নেতা। একসময় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল সে। তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বক্তব্য, কোনও রকম ওয়ারেন্ট ছাড়া মুজিবরকে পুলিশই তুলতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, লোকাল কয়েকজন বলেছেন আমায় ও কোনও দুষ্কৃতী ছিল না। ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিল আগের বারের। পুলিশ এসে ঘর ভাঙছে আর এ নিয়ে বচসা হয়েছে পুলিশের সঙ্গে ।

যদিও, পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চোপড়ার গোয়ালপোখর এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা মুজিবর। এছাড়াও বেআইনী অভিযুক্তর রয়েছে বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা। অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে নানা মামলা রয়েছে বলেও জানা যায় পুলিশ সূত্রে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুজিবরকে ধরে গাড়িতে তোলার আগেই তাকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় এলাকাবাসীদের একাংশ। এমনকি পুলিশ আধিকারিকদের গায়ে হাত তোলা হয় বলেও দাবি করা হয়। শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত এগারো জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মুজিবর বেশ কিছুদিন ধরে গা–ঢাকা দিয়েছিল । খবর মেলে কদিন আগে সে গ্রামে ফিরে আসে । গোপন সূত্রে খবর পৌঁছতেই মুজিবরকে ধরতে গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।