সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে কাশ্মীরে সস্ত্রীক বসবাস করত ওই ব্যক্তি। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা সঙ্গে তার যোগ আছে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন এবং ইউএপিএ ধারায় পুলিশ মামলা শুরু করেছে।
জম্মু কাশ্মীরের অন্তর্গত রম্বান জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় আমিরুদ্দিন খান নামের এক ব্যক্তিকে। ধৃতের বাবার নাম মোস্তাফা খান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কাশ্মীরে জামা কাপড়ের ব্যবসা এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আড়ালে আসলে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজকর্ম করত আমির উদ্দিন খান। এমনটাই দাবী করেছে কাশ্মীর পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করার পর অনেক তথ্য উঠে এসেছে কাশ্মীর পুলিশের হাতে। হাওড়ার সাকরাইল থানার অন্তর্গত মাসিলা পাঠান পাড়ার গ্রামের বাড়ি আমিরুদ্দিনের।
বর্তমানে কাশ্মীরে সস্ত্রীক বসবাস করত ওই ব্যক্তি। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা সঙ্গে তার যোগ আছে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন এবং ইউএপিএ ধারায় পুলিশ মামলা শুরু করেছে। জানা গেছে, আমিরউদ্দিন খানকে ৭ নভেম্বর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চিনা গ্রেনেড এবং অস্ত্রশস্ত্র।
আমিরউদ্দিনের গ্রেপ্তারের খবর আসে তার বাড়ি সাঁকরাইল এর মাশিলাতে। গ্রামের ও পরিবারের লোকজন হতবাক এই খবর পেয়ে।তারা বিশ্বাস করতে নারাজ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত সে। দাদা আজহারউদ্দিন খান জানান তারা পাঁচ ভাই ও দুই বোন।আমিরুদ্দিন ছোট ভাই।
উত্তরপ্রদেশে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। ২০০৭ সাল থেকে সে কাশ্মীরে বসবাস করছে। এখানে বানিহাল ফইজুল ইসলাম মাদ্রাসায় থাকত। এখানে শিক্ষকতা করতো। মাদ্রাসায় পড়ানোর পাশাপাশি জামা কাপড়ের ব্যবসা করত। সাঁকরাইলের বাড়ি থেকে পাইকারি হারে তার কাছে জামাকাপড় পাঠানো হত। এবছর ঈদের সময় সে শেষ বার বাড়িতে এসেছিল।
গ্রামের বাদিন্দা বাবাই মীর জানান তাদের গ্রামের গর্ব ছিল আমিরুদ্দিন। সে কোনোভাবে জঙ্গি কাজ কর্মের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। পরিবারের লোকজন ও গ্রামের বাসিন্দারা মনে করছেন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে আমিরুদ্দিনকে। তবে রম্বান পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আমিরুদ্দিন খানকে রাতের অন্ধকারে ধরা হয় এবং তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি ধ্বংসকারী চিনা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, আমিরুদ্দিন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে জম্মু কাশ্মীরে এসেছিল। নাশকতার পরিকল্পনা করেই নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছিল ধৃত ব্যক্তি।
বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭/২৫ ধারায় অস্ত্রশস্ত্র রাখার দায়ে এবং ধারা ৪ অনুযায়ী বিস্ফোরক পদার্থ রাখা, ও বেআইনী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ১৩ এবং ২০ ধারায় ধৃত আমিরুদ্দিন খানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন রম্বান থানার পুলিশ কর্তারা।
কুকুরকে খাবার দিতে দেরি করায় ভাইকে লাথি মেরে পাঁজর ভেঙে দিল দাদা, কেরলে হাড়হিম করা খুন