সংক্ষিপ্ত
শীত আসতে আরো বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ভোরের দিকে শীতে আমেজ থাকবে। যে রকম তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে অর্থাৎ ২০ থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যেই থাকবে শহর কলকাতায়।
আগামী চার থেকে পাঁচদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। দিন আর রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তন হবে না বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমতে পারে। উত্তরবঙ্গে আগামী তিন দিন বৃষ্টি হবে না। চতুর্থ দিন থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে আপাতত শীতের দেখা মিলবে না। শীত আসতে আরো বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ভোরের দিকে শীতে আমেজ থাকবে। যে রকম তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে অর্থাৎ ২০ থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যেই থাকবে শহর কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। রবিবার নাগাদ দু-এক ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা পারদ। উত্তর পশ্চিম হাওয়া এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রবেশ করেনি এই রাজ্যে।
তবে যেটা প্রবেশ করছে তা খুব শক্তিশালী নয় বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তাই এ রাজ্যে এখনও পাকাপাকিভাবে শীত আসতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জানা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন প্রধানত শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে মাঝেমধ্যে আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে, তবে বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। দিনের অথবা রাতের তাপমাত্রার কোনো রকম পরিবর্তন হবে না। আগামী পাঁচ দিন কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির কাছাকাছি ও রাতের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২১ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ দিন প্রথমত শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে ৭ ও ৮ তারিখ নাগাদ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হবে না। আগামী ১২ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা থাকছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াও বৃষ্টিমুক্ত থাকবে বলেই জানাচ্ছে মৌসম ভবন। দক্ষিণে কলকাতা ও গাঙ্গেয় বঙ্গে ভোরের দিকে বেশ ঘন কুয়াশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন এরকমই আবহাওয়া চলবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের সোম অথবা মঙ্গলবার নাগাদ অল্প কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে উত্তরের দার্জিলিং ও কালিম্পং, এই দুই পার্বত্য জেলায়।
উত্তরবঙ্গ ছাড়া প্রায় সব জেলাতেই বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকবে। উত্তর ও দক্ষিণ, উভয় বঙ্গেই আকাশ মূলত শুকনো থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, মালদহ ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার আকাশে হালকা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই শিরশিরে আবহাওয়া টের পেয়েছে বাঙালি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই কুড়ির ঘরে নেমে গেছে বঙ্গের তাপমাত্রার পারদ। সেই আবহ নিয়েই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কুড়ির ঘরেই টিকে রইল বাংলার তাপমাত্রা। ভোরের দিকে শিরশিরে ঠান্ডা থাকলেও বেলা গড়াতেই বাড়ছে তাপমাত্রা। জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখন কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন
ভোরের দিকে কুয়াশা কলকাতাতেও, জাঁকিয়ে শীতের পথে কাঁটা ঘূর্ণাবর্ত, কবে হাওয়া বদল রাজ্যে?
স্কুলের ঘরের ছাদে বড় ফাটল, আতঙ্কে ক্রমশ কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা, জেলায় শিকেয় শিক্ষা
বাংলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, গোপন করা হচ্ছে তথ্য- মোদী সরকারকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর