সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষা ছিল শাহজাহান শেখের। শারীরিক পরীক্ষার করতে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা হাসপাতালে। এদিন হাসপাতাল থেকে বেরতেই তাকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। তারপর কী হয়? জানুন….

শুক্রবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষা ছিল শাহজাহান শেখের। শারীরিক পরীক্ষার করতে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা হাসপাতালে। এদিন হাসপাতাল থেকে বেরতেই তাকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। শাহজাহানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় চোর স্লোগান!

বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছে 'সন্দেশখালির বাঘ'। সিজিও কমপ্লেক্সেই আটকে রাখা হয়েছে তাকে। শুক্রবার নিয়ম অনুযায়ী মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হয় শাজাহানকে। সেখানেই জনগণের রোষের মুখে পড়তে হয় শেখকে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি তুলে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের রোগীদের পরিবারের লোকজন। কোনও মতে শাহজাহানকে জনগণের রোষের মুখে থেকে বাঁচান ইডির আধিকারিকরা।

দূর্বৃত্তকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে?মূলত এই প্রশ্নই সেদিন তোলেন সাধারণ মানুষ। সন্দেশখালির বাঘকে 'গুলি করে খুনের দাবিও' উঠল হাসপাতাল চত্বরে।

টানা ৫৫ দিন খোঁজ চালানোর পরে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন শেখ শাহজাহান। ইতিমধ্যেই এই অভিযুক্তের ট ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে ইডি বলে জানা গিয়েছে।

শাহজাহানের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এইরকম প্রায় ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ইডি আধিকারিকদের নজরে। নিয়ম মেনে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শাহজাহানের বিরুদ্ধে দু’টি ইসিআইআর রয়েছে ইডির তরফে। একটি রেশন বণ্টন দুর্নীতি এবং আর একটি বেআইনি ভাবে জমি দখল এবং মাছ চাষ। মাছ ব্যাবসার আড়ালে বিদেশে কোটি কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের মামলাও রয়েছে শেখের নামে।