- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- কোর কমিটি 'থোড়ই কেয়ার'! বীরভূমে কাজল শেখকে পিছনে ফেলে তৃণমূলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া অনুব্রত মণ্ডল
কোর কমিটি 'থোড়ই কেয়ার'! বীরভূমে কাজল শেখকে পিছনে ফেলে তৃণমূলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া অনুব্রত মণ্ডল
TMC Vs TMC: বীরভূমে আবারও প্রকট হল অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজ শেখের দ্বন্দ্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটির বৈঠক হচ্ছে না বলেও অভিযোগ দলেরই একাংশের।

অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজল শেখ
বীরভূমে আবারও প্রকট হল অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজ শেখের দ্বন্দ্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটির বৈঠক হচ্ছে না বলেও অভিযোগ দলেরই একাংশের।
কোর কমিটি
অনুব্রতন মণ্ডল যখন তিহার জেলে ছিলেন সেই সময় বীরভূমে দল চালানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন।
কোর কমিটিতেই সিলমহর
পরবর্তীকালে অনুব্রত মণ্ডল মুক্তি পেলেও কোর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন কোর কমিটিতেই আলোচনা করে দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
থোড়াই কেয়ার
কিন্তু কোর কমিটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেমত দল চালাচ্ছেম অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকেই দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখেছেন অনুব্রত। তেমনই অভিযোগ তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যদের
অনুব্রত বনাম কাজল শেখ
বীরভূমের রাজনীতি মানেই অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে সবথেকে সক্রিয় হলেন জেলারই অন্য নেতা কাজল শেখ। যদিও কেউই কারো বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হন না। কিন্তু বীরভূমের রাজনীতির অন্দরে গুঞ্জন তাদের দ্বন্দ্বের কথা।
কোর কমিটির অপ্রাসঙ্গিক
কাজল শেখের ঘনিষ্টদের অভিযোগ সম্প্রতি কোর কমিটিকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের সিদ্ধান্ত তিনি একাই নিচ্ছেন। কোনও কারোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে না। যদিও প্রকাশ্যে অনুব্রতর নাম করেননি কাজল শেখ। তবে ঘুরিয়ে অভিযোগ তুলছেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে।
কাজল শেখের বক্তব্য
সম্প্রতি একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কাজল শেখ বলেছেন, 'যত দিন না কোর কমিটির বৈঠক হবে, তত দিন আমি কোনও কর্মসূচিতে যাব না। আমার নানুর ব্লক এবং জেলা পরিষদের কাজ নিয়েই থাকব।'
অনুব্রত মণ্ডলের বার্তা
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, '‘কোনও সমস্যাই নেই। এই তো দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে কথা হল! সবাই তো আমার সঙ্গে কর্মসূচিতে থাকছেন।' তবে অনুব্রতর মতে বীরভূমের কোর কমিটি বোলপুর কেন্দ্রিক। গোটা জেলের প্রতিনিধি সেখানে নেই।
বীরভূমের রাজনীতি
বীরভূমের রাজনীতি মানেই অনুব্রত মণ্ডলই শেষ কথা। অনুব্রতর ইসারাতেই চলে গোটা দল। কিন্তু তাঁর জেল যাত্রার পরে অনেকেই মনে করেছিল সেই মিথ ভেঙে যাবে।
কোর কমিটি
সেই সময়ই বীরভূমের দল চালানোর জন্য অনুব্রতর তিহার যাত্রার পরে একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই মনে করেছিল অনুব্রতর প্রতাপ কমবে।
অনুব্রত অনুব্রতই
তবে এখন ওয়াকিবহালমহলের ধারনা, অনুব্রত অনুব্রতই। জেলে যাওয়ার আগের মত জেল থেকে ফেরার পরেও তিনি বীরভূমের রাজনীতির শেষ কথা।
বীরভূমের রাজনীতিতে ভাগ
বীরভূম জেলার রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহালেরা বলছেন, আপাতত জেলার সংগঠনে আড়াআড়ি বিভাজন রয়েছে। এক দিকে কেষ্ট, বিকাশ রায়চৌধুরী, সুদীপ্ত এবং চন্দ্রনাথ আর অন্য দিকে কাজল, রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিং।
শতাব্দীর অবস্থান
রাজনীতিতে ওয়াকিবহালরা মনে করেছেন, দুই গোষ্ঠীর থেকেই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল।
অনুব্রতর বড় ঘোষণা
সম্প্রতি নলহাটিতে সভা করে কেষ্ট ঘোষণা করেছেন রামপুরহাট, সিউড়ি এবং বোলপুরে তিনি ২৫, ২৬ এবং ২৭ মে দেড় লক্ষ লোকের মিছিল করবেন।
দলের রাশ
অনুব্রত মণ্ডল ওরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'প্রিয়' কেষ্টা এই ঘোষণা করে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি জেলার রাজনীতির রাশ নিজের হাতেই রাখতে চাইছেন।

