Dilip Ghosh reaction: সাদা ফুলের মালা হাতে শ্মশানে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর শববাহী গাড়ি পৌঁছাতেই এগিয়ে যান। মালা দেন। হাত জোড় করে প্রনাম করেন।
Dilip Ghosh reaction: বিয়ে হয়েছে মাত্র ২৫ দিন। তারই মধ্যে ছেলেকে হারালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। মঙ্গলবার সকালেই রিঙ্কুর একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত। ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রিঙ্কু মজুমদার। কিন্তু এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। রাজ্য বিজেপিতে যাঁর পরিচয় আয়রন ম্যান হিসেবেই। শববাহী গাড়িতে মাত্র ২৭ বছরের সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর নিথর দেহ দেখে রীতিমত থমথমে মুখ ছিল দিলীপ ঘোষের।
সাদা ফুলের মালা হাতে শ্মশানে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর শববাহী গাড়ি পৌঁছাতেই এগিয়ে যান। মালা দেন। হাত জোড় করে প্রনাম করেন। কিন্তু চুপচাপই ছিলেন। যদিও দিলীপ ঘোষের স্ত্রী একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা তো কল্পনাও করতে পারছি না। কী করে হল...' তিনি আরও বলেন, 'ওর মা রান্না করছিল। ফোন এল। তারপর সেই অবস্থাতেই দৌড়ে চলে গেল। '
দিলীপ ঘোষ সৃঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাও বলেন। তিনি বলেন তাদের দুজনেরই অনেক স্মৃতি রয়েছে। নানা বিষয়ে কথা হত। গল্পও করেছেন অনেক সময় ধরে । তিনি আরও বলেন, 'সর্বগুণসম্পন্ন ছেলে। আমিতো সন্দেহ করিনি এমন হবে। এর কোনও বর্ণনা হয় না। আমাকে খুব ভালবাসত। আমি তো ওকে খেলা দেখাতেও নিয়ে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য আমার পুত্র-সুখ হল না। পুত্রশোক হল। '
পেশায় আইটি কর্মী ছিলেন সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত। তাঁর অন্য নাম প্রীতম। সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল বিজেপি নেতা সৃঞ্জয়ের মা রিঙ্কুদেবীকে বিয়ে করেন। সেই সময় তিনি শহরে ছিলেন না। সেই সময় ছুটি থাকার কারণে তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন। যদিও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ইডেনে কেকে আরএর ম্যাচও দেখেছিলেন তিনি। কলকাতায় ফিরে মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। দিলীপ ও রিঙ্কুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহারও দেন। যদিও একাধিক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের বিয়ের সিদ্ধান্তে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ৪৭ বছরের রিঙ্কুর। দিলীপের সঙ্গে রিঙ্কুর বিয়ের আগেই সৃঞ্জয় জানিয়েছিলেন তাঁর মা ১৩ বছর ধরে সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্ব পালন করছেন।


