সংক্ষিপ্ত

আদালতের নির্দেশ মত অনুব্রত মণ্ডলের বন্ড খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জমা দেওয়া বিল বন্ডের যাবতীয় নথির কপি জমা দেওয়া হয়েছে ইডি অফিসে।

 

গরু পাচার মামলায় শেষ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু আজই তিনি তিহার জেল থেকে মুক্তি পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা সোমবারের আগে তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। যার অর্থ আরও দুই দিন তাঁকে কুখ্যাত তিহার জেলেই বন্দি হয়ে থাকতে হতে পারে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারকর জ্যোতি ক্লেয়ার শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলে ব্যক্তিগত ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিল দিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশ মত বন্ড খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জমা দেওয়া বিল বন্ডের যাবতীয় নথির কপি জমা দেওয়া হয়েছে ইডি অফিসে। বেল বন্ড জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিক কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ইডি। তবে আজ শনিবার, তাই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। নিয়ম অনুযায়ী তিহার জেল সন্ধ্যের পরেই বন্দিদের মুক্তি দিয়ে থাকে। তাই আজ যদি বেল বন্ডের ভেরিফিকেশন না হয় তাহলে অনুব্রতর মুক্তি পেতে সোমবার। কাল, রবিবার হওয়ায় সরকারি কাজ প্রায় বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে জেল মুক্ত হতে অনুব্রতকে সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যাইহোক দুর্গাপুজোর উৎসবের আগেই মুক্তি পেতে চলেছেন অনুব্রত। অনুব্রতর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, তিহার জেল থেকে বেরিয়েই তিনি দিল্লি-কলকাতা বিমান ধরবেন। সরাসরি কলকাতা আসবেন। সেখান থেকেই যাবেন বীরভূম। কিছু দিন আগেই তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর মেয়ে।

কিন্তু গরুপাচার মামলায় কেন জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল- তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর ভাষার গেরোতেই আটকে ছিল গরুপাচার মামলার বিচার প্রক্রিয়া। অনুব্রত আইনজীবী জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সেই চার্জশিটে ব কোথাও উল্লেখ নেই, যে গরু পাচার-কাণ্ডে আর্থিক সুবিধে পেতেন তৃণমূল নেতা। নেই প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণও। সেই কারণেই জামিন মঞ্জুর করে দিল্লির কোর্ট। আইনজীবীর কথায় ভাষার কারণেই বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি। গরু পাচার মামলায় রাজ্য থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের অধিকাংশই বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় কথা বলতে পারে না। হাজার হাজার পাতার বয়ান বাংলা থেকে হিন্দি বা ইংরেজিতে অনুবাদ করাও কঠিন। সেই কারণেই বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।