সংক্ষিপ্ত

গরু পাচারকাণ্ডে তিহার জেলে যেতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। রাজ্য ও দিল্লির জেল মিলিয়ে প্রায় ২ বছর তিনি তাঁর খাস তালুক বীরভূম ছাড়া ছিলেন।

 

গুরুদায়িত্বে অনুব্রত মণ্ডল। দুই বছর বন্দিদশা কাটানোর পরে এবার আবারও তাঁকে ফিরিয়ে আনা হল রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি পদে। যদিও আগেই তাঁকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও বীরভমে বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলের একচ্ছত্র আধিপত্য চলে না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এক্যবদ্ধভাবে। কেউ একা একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

গরু পাচারকাণ্ডে তিহার জেলে যেতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। রাজ্য ও দিল্লির জেল মিলিয়ে প্রায় ২ বছর তিনি তাঁর খাস তালুক বীরভূম ছাড়া ছিলেন। কয়েক মাস আগেই জেল মুক্তি হয়েছে। বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত। একই সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তাঁর মেয়েও। বীরভূমে ফিরেই তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন অনুব্রত। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। কিন্তু এবার তাঁকে ফেরান হল রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদে

নবান্ন থেকে পাঠান হয়েছে চিঠি। আগেও তিনি ছিলেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন পর্যদের সভাপতি। গ্রেফতারির পরই এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে কাউকে সেই পদে বসায়নি রাজ্য সরকার। টানা দুই বছর ফাঁকা পড়েছিল গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ। এবার আবার বসান হল অনুব্রতকে।

২০১৩ সালে গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলকে মনোনীত করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই থেকে তিনি চেয়ারম্যান। যার দৌলতে তিনি নীল বাতির গাড়ি, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা, সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেতেন। সেইমতো নানা সরকারি অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং বিভিন্ন প্রকল্প এই পর্ষদের আওতায় হয়ে থাকে। সে অর্থে বেশ গুরুত্বপূর্ণ গ্রামোন্নয়ন বিভাগের এই পদ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।