সংক্ষিপ্ত

বীরভূমের রাজনীতি বরাবরই আকর্ষক। এই জেলার তৃণমূলের সর্বেসর্বা অনুব্রত মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় পাত্র হিসেবেই পরিচিত।

জন্মদিনেই বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিয়েছেন, চোখের চিকিৎসা করাতে যাওয়ার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখনেই ঘাসফুল শিবিরের সংগঠনে বড় রদবদল আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত থাকার জন্য তা কার্যকর করতে পারেন বলেও মন করেছেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেকের এই খসড়া বিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।

বীরভূমের রাজনীতি বরাবরই আকর্ষক। এই জেলার তৃণমূলের সর্বেসর্বা অনুব্রত মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় পাত্র হিসেবেই পরিচিত। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্ট বলে ডাকেন। কিন্তু প্রশ্ন অভিষেকের খসড়ায় কী রয়েছে অনুব্রতর নাম? কারণ অভিষেক নিজেই জানিয়েছেন, আনুগত্য নয়, কাজই শেষ কথা বলবেন। সম্প্রতি তিহার জেল থেকে ফিরেছেন অনুব্রত। এসেই দলের রাশ নিজের হাতে নিতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটি নিয়েও। যা নিয়ে সরাসরি না হলেও জেলার অনেক নেতাই আপত্তি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, বীরভূম জেলার সংগঠনের দায়িত্ব থাকুর কোর কমিটির ওপর। কোর কমিটির তত্ত্বাবধানে ভোটের ফল ভাল হয়েছে। তাই কোর কমিটির ক্ষমতা খর্ব করা ঠিক নয়। জেলা সভাপতি কোর কমিটিকে সঙ্গে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিক এমনটাই চান অভিষেক। অন্যদিকে কোর কমিটি নিয়ে অনুব্রত তাঁর আপত্তির কথা মমতাকে জানাবেন বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। এই অবস্থায় কোন পথে বীরভূমের রাজনীতি - তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিষেককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন বীরভূমের যতগুলি সতীপীঠ রয়েছে সবকটিতে তিনি অভিষেকের সুস্থতা কামনা করেছেন। অভিষেক যাতে আরও বল নেতা হয় তারও কমানা করেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, অভিষেকের পাশে তিনি থাকবে। তিনি বলেন, 'আমার যতদিন শরীর চলবে তত দিনই অভিষেকের পাশে থাকব।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।