সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে আগেই ভোট হয়েছে। কিন্তু তবে শনিবার গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যে সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণের মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হুংকারে।
এবার ভোটে ছিলেন না বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু না থাকলেও তিনি বীরভূমে সর্বদাই থাকেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক নেতার ভাষণে ভোটে উপস্থিত ছিলেন তিনি। গরু পাচার, আর্থিক তছরুপ-সহ একাধিক মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে আগেই ভোট হয়েছে। কিন্তু তবে শনিবার গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যে সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণের মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হুংকারে। তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত সেখান থেকেই রীতিমত হুংকার দিয়েছেন। বলেছেন ,'আমায় ফিরতে দে... তারপর যা বলার বলব। ' সূত্রের খবর নিজের ঘনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই এই কথা বলেছেন অনুব্রত। তবে কাকে উদ্দেশ্য করে এই বার্তা - তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০২২ সালে থেকেই জেল বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে রাজ্যে রাখা হয়েছিল। তারপরই নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যান্ত ঘনিষ্ট আর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত অনুব্রতে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের মত দল থেকে ছেঁটে ফেলেননি। রেখে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে। কিন্তু তারপরেই বীরভূমে বর্তমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর প্রতিপক্ষ কাজল শেখ। দলের অনেক দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও তাঁর রাশ ধরে রেখেছেন মমতা। একাধিকবার কালীঘাটে ডেকে ধমকও দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও অনুব্রতর শূন্যস্থান পুরণে রীতমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কাজল। এই অবস্থায় বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেলে কাজল আরও বাড়বে বলেও তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের অনুমান। বিশেষ করে অনুব্রত ঘনিষ্টদের অনুমান। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করছে নিজের দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকেও জেলে বলে সতর্ক করলেন মমতার প্রতি কেষ্ট।