সংক্ষিপ্ত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্যই বিখ্যাত মংপু। রবীন্দ্র মিউজিয়াম দেখার জন্যই মংপু যান পর্যটকরা। কিন্তু সেই রবীন্দ্র মিউজিয়ামকে ঘিরেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত পর্যটনস্থল মংপুতে রবীন্দ্র মিউজিয়াম চত্বরে পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে গেস্ট হাউস। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত চত্বরে থাকতে আগ্রহী অনেকেই। প্রতিদিন বহু রবীন্দ্রপ্রেমী এই মিউজিয়ামে ভিড় জমান। কিন্তু সেখানেই অব্যবস্থা এবং অন্যায় আচরণের অভিযোগ উঠেছে। পর্যটকদের জন্য গেস্ট হাউস তৈরি হওয়ার পর প্রায় দু'বছর কেটে গিয়েছে। সেখানকার কেয়ারটেকারদের অভিযোগ, এই দু'বছর ধরে তাঁরা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ফলে পরিবার নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েছেন এই কেয়ারটেকাররা। তাঁরা রবীন্দ্র মিউজিয়ামের চাকরি ছেড়ে অন্য কোনও কাজ করতে চাইছেন। কিন্তু সেখানেও বাধা রয়েছে। রবীন্দ্র মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ চাকরি না ছাড়ার জন্য চাপ তৈরি করছে। ফলে সমস্যার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
কী অভিযোগ কেয়ারটেকারদের?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেয়ারটেকার অভিযোগ করেছেন, 'আমরা জেলাশাসকের দফতরের অধীনে রবীন্দ্র মিউজিয়ামের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজে যোগ দিই। কিন্তু গত দু'বছর ধরে ঠিকমতো বেতন পাচ্ছি না। দু'বছরে চার-পাঁচবার অর্ধেক বেতন পেয়েছি। বাকি টাকা আদৌ পাব কি না জানি না। মোট পাঁচজন কেয়ারটেকার আছি। সবারই একই অবস্থা। আমরা চাকরি ছেড়ে দেব বলেছিলাম। কিন্তু জেলাশাসকের দফতর থেকে চাকরি না ছাড়ার জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।'
মন্ত্রীকে বলেও লাভ হয়নি
মংপু রবীন্দ্র মিউজিয়ামের এক কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, 'মন্ত্রী মলয় ঘটক যখন এখানে এসেছিলেন, তখন তাঁকেও আমরা বেতন না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোনও লাভ হয়নি। আমরা সাধারণ মানুষ। পরিবার নিয়ে এখানেই থাকতে হবে। তাই ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও নিতে পারছি না। আমাদের মধ্যে একজন রবীন্দ্র মিউজিয়ামের মূল ফটকের সামনে খাবার দোকান করেছে। বাকিদের পক্ষে সংসার চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।'
কবে বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে?
কেয়ারটেকারদের বেতন না হওয়ার অভিযোগ নিয়ে মংপু রবীন্দ্র মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত এই ভবনে সাধারণ কর্মীদের প্রতি অন্যায় আচরণে অনেকেই ক্ষুব্ধ। রবীন্দ্রপ্রেমীদের দাবি, অবিলম্বে গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকারদের বেতন মিটিয়ে দিতে হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসানো ফলকে নাম নেই খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের! আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার
পাঠ্য বইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে রাজা রামমোহন রায়ের নাম! ভাইরাল পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক
হাতে নেই পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলি, সরেছে মুখের টেপও, নবরূপে ফের ফিরল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি