সংক্ষিপ্ত

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, আদালত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষ্যও গ্রহণ করেছে। 

আলিপুর আদালতে শুক্রবার শুনানি ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার। আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন শোভন ও রত্না, দুজনেই। তাঁরা ছাড়াও আলিপুর আদালতে দেখা গেল শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। শুক্রবার আদালতে শোভন-রত্নার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। কিন্তু, তাঁদের এই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত কেন? সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সাক্ষী হিসেবে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন শোভন। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, আদালত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষ্যও গ্রহণ করেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

শুক্রবার আদালতে হাজির হওয়া প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন। আমি যা জানতাম, তা-ই বলেছি। আমি যদি এটার সঙ্গে যুক্ত না হতাম, তাহলে শোভন চট্টোপাধ্যায় নিশ্চয়ই সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমায় নিয়ে আসতেন না। আমারও এইটুকু পড়াশোনা আছে। আমি জানি, আমি কখন সাক্ষ্য দেওয়ার মতো অবস্থায় আছি, কখন নেই। আমি যা চোখে দেখেছি, কানে শুনেছি, সেগুলিই সামনে নিয়ে আসব। বিচারক যদি ঠিক মনে হয়, তাহলে তিনি সেগুলি গ্রহণ করবেন।”

বৈশাখী আরও বলেন, “আমার কাছে যথাযথ প্রমাণ রয়েছে। তাই আমি বিচারকের কাছে এসেছি। কারণ, একজন বিচারকের কাছে আসার আগে তো নিজের আত্মবিশ্বাস থাকতে হয়। আমার নিজের সত্যের উপর বিশ্বাস আছে। শোভনের সত্যের উপর বিশ্বাস আছে। আশা করছি আমরা ন্যায়বিচার পাব।”

যদিও, আদালত কক্ষের ভেতরকার আলোচনা সম্পর্কে রত্না চট্টোপাধ্যায় কার্যত নীরব থেকেছেন। তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি যা যা দেখেছেন, সেই সব তিনি মামলার স্বার্থে আদালতকে জানিয়েছেন। যদিও কী কী বিষয় তিনি দেখেছেন, বা কী কী বিষয় তিনি আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেননি বৈশাখী। আদালত এদিন দুই পক্ষের বক্তব্য শোনে এবং আগামী ৩০ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

ক্রমাগত মাটি বসে গিয়ে আরও সঙ্কটে জোশীমঠ, স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত স্থানান্তর করার কাজ করছে প্রশাসন
পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে হাম ও রুবেলার টিকাকরণ, শিশুদের সুরক্ষায় জন্য বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
হারিয়েছিলেন মোবাইল, জরিমানা দিতে হল বাইকের জন্য, রাজারহাটে পুলিশের জালে কীর্তিমান যুবক