Dilip Ghosh on Bangladesh: বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে গেলে টিকে থাকতে পারবে না।
Dilip Ghosh on Bangladesh: বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানিতে বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। বিশেষ করে কাপড়, খাদ্য সামগ্রী আমদানীর ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা দিলীপ ঘোষ রবিবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, পূর্ব প্রতিবেশী দেশটি ভারতের বিরুদ্ধে গেলে টিকে থাকতে পারবে না। "আমরা যখন পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি, তখন বাংলাদেশ কি? এটি চারদিক থেকে ভারত দ্বারা বেষ্টিত। বাংলাদেশের জন্য, বায়ু থেকে পানি, ব্যবসা থেকে বাণিজ্য, সবকিছু আমাদের হাতে। তাদের বুঝতে হবে যে তারা ভারতের বিরুদ্ধে গেলে টিকে থাকতে পারবে না।" সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন দিলীপ ঘোষ।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের DGFT এর নির্দেশনার পর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানিতে তাৎক্ষণিক বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরে তার এই মন্তব্য। এই পদক্ষেপের ফলে তৈরি পোশাক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো পণ্য নির্দিষ্ট সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানি সীমিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে। নতুন নির্দেশ অনুসারে, বাংলাদেশ থেকে সকল ধরণের তৈরি পোশাক এখন শুধুমাত্র কলকাতা সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে, স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের অনুমতি আর নেই।
এছাড়াও, ফলের স্বাদের এবং কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলা বর্জ্য, পিভিসি এবং প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য (অনুমোদিত শিল্প ইনপুট বাদে) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি স্থল শুল্ক স্টেশন (LCS) এবং ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (ICP) -এ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে মাছ, এলপিজি, ভোজ্য তেল এবং পাথরের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানি অপ্রভাবিত থাকবে। বাংলাদেশ থেকে নেপাল এবং ভুটানে ট্রানজিট হওয়া পণ্যগুলিও এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চিনে এক বক্তৃতায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে "সমুদ্রে প্রবেশাধিকারহীন স্থলবেষ্টিত অঞ্চল" হিসেবে উল্লেখ করার পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভারতীয় অধিকর্তারা এই মন্তব্যকে অঞ্চলের সংযোগ এবং সার্বভৌমত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যার ফলে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


