সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, “ওই অফিসার মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও খবর এসেছে। যে অবস্থাতেই তিনি থাকুন, রাজ্য প্রশাসনকে যেকোনওভাবে দিনের পর দিন গালাগালি করে যাবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তুইতোকারি’ সম্বোধন। প্রকাশ্য ফেসবুক পোস্টে অত্যন্ত আপত্তিকর লেখা লিখে নিন্দার শিকার হলেন বারাসাত পুলিশ জেলার এক ডিআইবি ইন্সপেক্টর। শুধু তাইই নয়, শাসক দলের নজরে আসার পরেই একেবারে পদ থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল ওই পুলিশ অফিসারকে।

সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরের নাম আশীষ বটব‍্যাল। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। সেই নিয়ে শুরু হয় জোরালো বিতর্ক। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ তিনি সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন। শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এমন বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


 

শনিবার, কাঁথির জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য রাখার একটি ছবি পোস্ট করে আশীষ বটব‍্যাল ছবিটির ক্যাপশনে প্রথমেই তাঁকে ‘শালা’ বলে সম্বোধন করেন। এর সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘চশমাটার দাম কত? কোথা থেকে চোখ দেখিয়ে আনলি? জনগণকে বল!’ স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টের পরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই পুলিশ অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বয়ে যেতে শুরু করে। তাঁর ওপর মহলে এই কথা পৌঁছনোর সাথে সাথে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি মুছে দেন।


 

পুলিশ সূত্রে খবর, আশীষ বটব‍্যাল পূর্বে হুগলি জেলা পুলিশের ডিআইবি ছিলেন। বর্তমানে বারাসাতে জেলা পুলিশের ডিআইবি ইন্সপেক্টর হিসেবে বহাল রয়েছেন প্রায় তিন বছর ধরে। ফেসবুকে তিনি সোশ্যাল যথেষ্ট সক্রিয় থাকেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁর সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিরোধী নেতার বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে সরকারকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এই ঘটনাটিও সেটাই প্রমাণ করে। যে পুলিশ অফিসার দীর্ঘদিন ধরে নিজের DA (ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স) পাচ্ছেন না, তিনি তো সাংসদের চশমার দাম জিজ্ঞেস করতেই পারেন, এটা স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় এই সরকার চলছে। যাঁরা নিজেদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাঁরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে জানতে চাইতেই পারেন।” এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘আশিসবাবু একজন সৎ পুলিশ অফিসার। উনি সঠিক প্রশ্নই করেছেন। পুলিশ আজ দলদাস তকমা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ওনাকে কুর্নিশ জানাই।’


 

অন্যদিকে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, “ওই অফিসার মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও খবর এসেছে। যে অবস্থাতেই তিনি থাকুন, রাজ্য প্রশাসনকে যেকোনওভাবে দিনের পর দিন গালাগালি করে যাবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সকলের গণতন্ত্র আছে। কিন্তু, এমন গণতন্ত্র দেওয়া হয়নি যে নেতৃত্বদের দীর্ঘদিন আঘাত করে যাওয়া যাবে। সুতরাং, ওই পুলিশ অফিসারকে যদি সাসপেন্ড করা হয়, তাহলে তা সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”




আরও পড়ুন-
গুজরাত বিধানসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বেলা ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় ৫০ শতাংশ, ভোট বয়কট করল ৪টি গ্রাম
শীঘ্রই সাঁতরাগাছি সেতুর সমস্যার সমাধান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর কবে খুলবে ব্রিজ?
টলি-কন্যা ‘পহেলি’-র প্রেমে ছাদনাতলায় কমরেড শতরূপ, বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল বাম যুবনেতার যুগল ছবি