সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘ কয়েক বছরের প্রেম পরিণতি পেল বিয়েতে। মিছিল মিটিং বিক্ষোভ অবরোধ পেরিয়ে ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় এসে নতুন জীবন শুরু করলেন দুই কমরেড। 

বিয়ের পিঁড়িতে বাম যুবনেতা শতরূপ ঘোষ। এমনিতেই বহু বঙ্গনারীর হৃদয়ে ব্যথা লাগার কথা উসকে দিয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী তথা বাম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্র। তার ওপর আগাম ছবি পোস্ট করে ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন আরেক টলি অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। কিন্তু, তরুণ নেতা শতরূপের হৃদয় যিনি জয় করে নিলেন, তিনিও স্বয়ং টলিউডেরই পাত্রী। নাম, পহেলি সাহা।

সূত্রের খবর, এক প্রযোজনা সংস্থায় জনসংযোগকারী প্রধান হিসেবে কাজ করতেন পহেলি। সেই সূত্রে শতরূপের বিয়েতে নিমন্ত্রিত হয়েছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহু চেনা পরিচিত মানুষরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন উষসী চক্রবর্তী, রয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। কমরেড শতরূপকে নিয়ে রসিকতা করে তিনি লিখেছেন, “অনেক মেয়েকে চোখের জলে ভাসিয়ে শতরূপ ঘোষ বিয়ে করছেন, সেখানে না গেলে ভবিষ্যতে ট্রোলারদের কন্টেন্টে ঘাটতি পড়বে। অতএব সেখানেও হাজিরা দিতে হবে।”


 

পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ ও পহেলি সাহার বিয়ের আয়োজন হয়েছে ই এম বাইপাস লাগোয়া বিষ্ণু বিজলি গার্ডেনে। কমরেডের বিয়ের কার্ডটিও দারুণ অভিনবত্বে সজ্জিত। এখানে প্রাধান্য পাননি প্রজাপতি ব্রহ্মা, তার বদলে রয়েছে শতরূপ-পহেলির প্রেমের আখ্যান। বিয়ের কার্ড ভরে উঠেছে কাস্তে হাতুড়ি থেকে কলকাতা শহরের টুকরো টুকরো ছবিতে।


 

ধর্মীয় আচার আয়োজন বাদ রেখে আইনসম্মত বিয়েতেই সম্মত নবদম্পতি। পহেলি সাহার সঙ্গে তাঁর আলাপ দীর্ঘদিনের। একই রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী এই যুগল। দুজনের পরিচয় হয় আশুতোষ কলেজে পড়ার সময় থেকেই। তবে, প্রেম এগিয়েছিল গোপনে। দীর্ঘ কয়েক বছরের সেই প্রেম পরিণতি পেল বিয়েতে। মিছিল মিটিং বিক্ষোভ অবরোধ পেরিয়ে ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় এসে নতুন জীবন শুরু করলেন দুই কমরেড।


আরও পড়ুন-
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে চড়া সুদ কেন? রাজ্য সরকারের প্রশ্নের মুখে ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা
ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশজুড়ে সমস্ত মানুষকে বদলে ফেলতে হবে নিজের নাম, নোটিস জারি করল উত্তর কোরিয়া সরকার
বিশ্বের বৃহত্তম থেকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম, অ্যান্টেনার জগতকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এলেন বাঁকুড়ার বিজ্ঞানী প্রফেসর শ্রীকান্ত পাল