Hooghly News: শুক্রবার রাতেই হুগলীর বাড়িতে ফিরেছেন বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। বাড়ি ফিরে কী বললেন তিনি? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Hooghly News: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। পাক সেনার হাতে একটানা ২০ দিন বন্দি থাকার পর গত বুধবার দেশে ফিরেছেন বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। কিন্তু ছুটি না মেলায় দেশে ফিরলেও বাড়িতে আসতে পারেননি পূর্ণম। অবশেষে শুক্রবার ঘরে ফিরল ঘরের ছেলে। হুগলীর রিষড়ার বাড়িতে ফিরলেন BSF জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। এতদিন পর বাড়ি ফেরায় স্ত্রী রজনীর মুখে ফুটেছে হাসি। উদ্বেগ কাটিয়ে পূর্ণমের ঘরে ফেরার সেলিব্রেশনে মেতে তাঁর পরিবার।
সূত্রের খবর, এক মাস দীর্ঘ অপেক্ষার পর, বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ শুক্রবার তার রিষড়ার বাড়িতে ফিরেছেন। গত ২৩ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পরদিন বিশ্রাম নেওয়ার সময় ভুলবশত পাকিস্তানের সীমায় প্রবেশ করায় পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। দীর্ঘ টানাপোড়েন, লাগাতার ভারতের চাপে দিন কয়েক আগেই পূর্ণমকে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাক সেনা। দেশে ফিরলেও এতদিন কর্মস্থলেই ছিলেন ওই বিএসএফ জওয়ান। শুক্রবার সন্ধ্যায় হুগলীর রিষড়ায় নিজের বাড়িতে ফেরেন পূর্ণম।
এতদিন পর স্বামী বাড়িতে ফেরায় উচ্ছ্বসিত পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ। তিনি বলেন, '' তার পছন্দের খাবার তৈরি করে বিশেষভাবে স্বাগত জানানো হবে। তার বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের ভিড় জমেছে। সবার মুখে একটাই কথা "পূর্ণম অবশেষে বাড়ি ফিরেছে।" তাতে আমারা খুব খুশি।''
উল্লেখ্য, ২২ দিন পাকিস্তানের হেফাজতে থাকার পর, বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার শাউ ভারতে ফিরে আসেন, কলকাতায় তার পরিবারের জন্য অপরিসীম আনন্দ এবং স্বস্তি বয়ে আনেন। যখন তার স্ত্রী রজনী তার প্রথম ফোন পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। পূর্ণমের ভারী কণ্ঠস্বর বলল, "আমিই বলছি," যার সঙ্গে রজনী তাকে চিনতে না পেরে জিজ্ঞাসা করল, "আপনি কি পিকে স্যার?"
রজনী খুশি মনে বলে, "আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এটা আসলেই সে। আমরা কখনও আমাদের স্বামীদের নাম ধরে ডাকি না, তাই আমি নিশ্চিত হতে বললাম, 'পিকে স্যার?'" ফোনটা ছোট ছিল; পূর্ণম তার বাবা-মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলেন এবং তার ছেলে আরভের সঙ্গে কথা বললেন। এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু আবেগঘন ফোনালাপ পূর্ণমকে তার বাবা-মায়ের সুস্থতা সম্পর্কে জানার এবং তার ছেলে আরভের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে রজনী পূর্ণমের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং তার ফিরে আসার পরপরই তার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার মুক্তির সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, অন্যদিকে বাংলার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার একদিন পর, ২৩ এপ্রিল, পূর্ণম কর্তব্যরত অবস্থায় ভুলবশত পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে তার পরিবার কয়েক সপ্তাহ ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। গর্ভবতী রজনীও আপডেট পেতে ফিরোজপুর গিয়েছিলেন, কিন্তু ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করেছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


