সংক্ষিপ্ত
বিদ্যুৎযুগে একাধিকবার পড়ূয়া কর্তৃপক্ষ এমনকী সহকর্মীদের সঙ্গেও সংঘাতে জড়ান তিনি।
বিশ্বভারতীতে শেষ হল বিদ্য্যুৎ যুগ। ফলক বিতরকের মাঝেই মেয়াদ ফুরল বিদ্যুৎ চক্রর্তীর। নিজের সময়কালে তাঁর নানা মন্তব্য ও কার্যকলাপের জেরে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকতে হয়েছে তাঁকে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হলেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। পাশাপাশি তিনি কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় বিশ্বভারতীর কর্মসবে সমিতিরও সদস্যও। তবে বিদায়বেলায়ও বিদ্যুতের পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। বিদ্যুৎযুগে একাধিকবার পড়ূয়া কর্তৃপক্ষ এমনকী সহকর্মীদের সঙ্গেও সংঘাতে জড়ান তিনি। এবার তাঁর বিদায়কালে উচ্ছ্বাসের দৃশ্য দেখা গেল পড়ুয়া, অধ্যাপক, কর্মীদের মধ্যে। উপাচার্য চলে যাওয়ার 'আনন্দে' বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে অধ্যাপক কর্মী আধিকারিকেরা একত্রিত হয়ে মিষ্টি মুখও করলেন। খুশির আমেজ স্থানীয় তৃণমূল শিবিরেও।
বিদ্যুৎ-যুগে বিশ্বভারতী
প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে একাধিক বিষয় ঘিরে উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। তাঁর একাধিক সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সে বিতর্কের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ক্যাম্পাসের গণ্ডী ছাড়িয়ে উপনীত হয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। কখনও বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় নিয়ে সেমিনারের আয়োজন, আবার কখনও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে মন্তব্য তো কখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য, নানা বিষয় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। গোটা কার্যকালে তো বটেই, উপাচার্যের মেয়াদ শেষেও কাটল না বিতর্ক।
ফলক বিতর্ক
উপাচার্যের দায়িত্বে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত বিদ্যুতের পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। অবসরের সময়ও ফলক বিতর্কে জর্জরিত তিনি। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর পক্ষে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। এর ফলকেই নীচে লেখা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদ্যুতের নাম। তবে উল্লেখ নেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল। অন্যদিকে বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয় পড়ুয়া এবং আশ্রমিকদের একটা বড় অংশ।
বিদায়বেলায়
তবে বিশ্বভারতীতে বিদ্যুতের শেষ দিনের অভিজ্ঞতাও খুব সুখকর হল না। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাই আগেভাগেই মহিলা পুলিশ-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ছিলন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরাও।