সংক্ষিপ্ত

আর দুদিন পরই সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ। আর এরই মাঝে এমন ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে এক মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টে ফের বড় ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। কার্যত ভোটের মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টে তোপের মুখে পড়ল রাজ্য। আর দুদিন পরই সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ। আর এরই মাঝে এমন ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে এক মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট।

কী ঘটেছে?

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দায়ের করা এক মামলায় জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। পশ্চিম বর্ধমানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সভা করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি দেখিয়ে সেই সভার অনুমতি দেয়নি জেলা পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এদিন সেই সভার অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে মিছিল করতে চেয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তরফে। অভিযোগ জেলা পুলিশ সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি। এবার তাতে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। লোকসভা ভোটের মাঝেই এবার সভা করতে চেয়ে আবেদন করেন তারা। পুলিশ তাতে অনুমতি না দিলেও এদিন তাদের মিছিল ও সভায় সবুজ সংকেত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

এই মামলায় জেলা পুলিশের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, ‘জেলায় পুলিশ নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে।’ রাজ্য জানিয়েছিল, যেহেতু ভোট চলছে তাই সভার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, এই মিছিলের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।