সংক্ষিপ্ত
নানা তরজার পর অবশেষে বুধবার বনধ স্থগিত রাখার ঘোষণা করা হয়। বিনয় তামাং-এর দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অবশেষে বাতিল হল বনধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পরই পাহাড়ে বনধ স্থগিত রাখলেন বিনয় তামাং। বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘন্টার বনধ ডাকা হয়েছিল। আবার বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় বনধের ডাকে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলা জুড়ে। ঘটনার বিরোধিতা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা তরজার পর অবশেষে বুধবার বনধ স্থগিত রাখার ঘোষণা করা হয়। বিনয় তামাং-এর দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিধানসভায় সদ্য পাশ হওয়া বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা এবং গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে মঙ্গলবার অনশনে বসেন বিনয় তামাং এবং হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ড-সহ জিটিএ-র ৭ সদস্য। এই মর্মেই আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়। তবে সেদিন থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়া আশঙ্কায় ভোগে ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে 'কোনও বনধ হবে না' বলে হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই বনধ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিনয় তামাং বলেছেন,'আমরা বনধ ডাকিনি। জাতিগত আক্রমণের বিরুদ্ধে বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলাম। বনধ স্থগিত রাখা হল। অনেকের ফোন আসছে আমাদের কাছে। প্রয়োজনে মানুষের কাছে যাব।' তিনি আরও বলেন,'বিভিন্ন আদিবাসী, গোর্খা সংগঠন-সহ অনেক ছোট ছোট দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামতে চাইছে।'
প্রসঙ্গত, গতকালই শিলিগুড়ির সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্টতই হুমকি দিয়েছেন বঙ্গ ভঙ্গের দাবিতে যারা পাহাড়ে বনধের পথে যাচ্ছেন তাদের প্রতি। উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে নিয়োগ বন্ধ করতে মরিয়া বিরোধীরা। এদিন বিরোধীদের কড়া নিন্দা করেছেন মমতা। তিনি বলেন,'বাংলায় আর বনধ হবে না, আমরা বনধের সমর্থন করি না। যদি কেউ বনধ করে তাহলে প্রশাসন রেয়াত করবে না।' এদিন তিনি আরও বলেন,'বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “উত্তরাখণ্ডে কত কেলেঙ্কারি হয়েছে? মধ্যপ্রদেশে কত কেলেঙ্কারি হয়েছে? ব্যাপম ভুলে গেছেন? যত রাগ বাংলার উপর। মানুষের টাকা কেড়ে নিয়েও লজ্জা নেই। আজ বলছে, না না ওকে চাকরি দেওয়া যাবে না।” মমতার অভিযোগ, একে তো নিজেরা চাকরি দেবে না। কেউ চাকরি পেলেই সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে চলে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক চাকরি আটকাতে হবে। নাহলে ওরা তৃণমূলের সমর্থক হয়ে যাবে। এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন -
বাংলায় কোনও বনধ হবে না-উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে শিলিগুড়ির সভা থেকে কড়া বার্তা মমতার
বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে এবার আরও জোরদার আন্দোলন, আগামী ৯ মার্চ ধর্মঘটের ডাক সরকারি কর্মীদের
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা, কি কি নিয়ম মানতে হবে পরীক্ষার্থীদের, জেনে নিন এক নজরে