সংক্ষিপ্ত

প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। বাক্যবাণে বিঁধলেন শাসকদলের নেতাদের। 

ছুটির সকালে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণাত্মক বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তিনি।

কলকাতার রাস্তায় হকার সমস্যা প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম যেহেতু পুলিশকর্মীদের দায়ী করেছেন, সেবিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‌পুলিশের জন্য হকার বসছে, পার্টির লোকের জন্য কাটমানি হচ্ছে, তাহলে সরকার কী করছে?‌ পুলিশ কার হাতে? আপনারা পুলিশকে দিয়ে তোলা তোলাবেন, গরুর গাড়ির থেকে, বালির গাড়ির থেকে, কয়লার গাড়ি থেকে পুলিশ টাকা তুলে দেবে। পুলিশ আপনাদের কথা শুনবে কেন? পুলিশকে কে কন্ট্রোল করে?‌ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুলিশ আছে। পুলিশকে আপনারা কিছু করতে দেবেন না হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন। শুধু নিজের পার্টির কাজ করাবেন। পুলিশ তার নিজের কাজ ভুলে গিয়েছে। পার্টির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে, পুলিশ সেটা গিয়ে ঠেকাচ্ছে। এটা পুলিশের কাজ নাকি?‌ পুলিশ তার কাজ করবে কেন?‌ তারাও পয়সা কামাচ্ছে।’‌

কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বক্তব্য ছিল, বিরোধী দলের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলে শাসকদলকে দেওয়া হোক, তাঁদের কাছে ভালো ট্রেনার। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, ‘‌ঠিক। ওনাদের একজন এমপি কীভাবে বোমা তৈরি করতে হবে, কী কী সামগ্রী দিতে হবে সেটা বলে দিচ্ছে টিভিতে। বিধায়ক মদনবাবু বলে দিচ্ছেন ট্রেনিং কীভাবে হবে, কাঁধে কোথায় বন্দুক রাখবে, ট্রিগারে কী করে হাত দেবে, এই তো ওদের বড় বড় নেতা। তারা যদি হয় গ্যাংস্টার, তাহলে বাকি যারা আছে তারা তো প্রেরণা পাবেই।’‌

সোনারপুরের গুলি চলার ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি নেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‌শুটআউট কোনও ঘটনা নয়, এটা রোজ হয়। গত এক দেড় মাস ধরে শুটআউট আর বোম ব্লাস্ট হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র বোমা বারুদে পশ্চিমবঙ্গ ভরে গিয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেটা কন্ট্রোল করতে পারছে না পার্টি। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণ হচ্ছে, যারা এই ধরনের সমাজবিরোধী, তারা পার্টির মধ্যে ঢুকে অ্যান্টিসোশ্যাল কাজকর্ম করছে। নিজেদের মধ্যে মারপিট ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে। তাই গোলাগুলি চলছে।’‌

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অসমাপ্ত কাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ করা প্রসঙ্গে শাসক দলের নেতা ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‌সে দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন। এমার্জেন্সি হবে যাতে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে শেষ করা যায়। সেটা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন।’‌

আরও পড়ুন-
পঞ্চায়েত ভোটের আগে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জোরদার দাবি, কেন্দ্রের দরবারে সুপ্রিমো বিমল গুরুং
নিম্নচাপের প্রভাবে ১৭ থেকে একলাফে ১৯ ডিগ্রি, ডিসেম্বর শুরুর আগে খামখেয়ালি তাপমাত্রার পারদ
নিমেষের মধ্যে সব পুড়ে ছাই, শিলিগুড়ির ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে এক এক করে ধ্বংস হয়ে গেল শতাধিক ঘর