Dilip Ghosh News: সুপ্রিম নির্দেশে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্বস্তি মিললেও, এখনও হকের চাকরি আদায়ের দাবিতে পথে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।   

Dilip Ghosh News: টানা অবস্থানের পর এবার সাত দফা দাবিতে বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযান চাকরিহারারাদের। কোন‌ও পরীক্ষা নয়, সরকারকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সসম্মানে চাকরি ফেরানোর দাবি চাকরিহারারা শিক্ষকদের। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে চাকরিহারারাদের বিক্ষোভ ঘিরে বিকাশ ভবনের সামনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মেন গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারাদের একাংশ। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ। যা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার সকালে নিউ টাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''সুপ্রতীম বাবু যা বলছেন হয়তো কিছুটা ঠিক। এই সহিংস আন্দোলন রাজ্যে নতুন নয়। কিন্তু ওরা যেদিন প্রথম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল সেদিন প্রথম কে লাথি মেরেছিল? কে লাঠিপেটা করেছিল? শিক্ষকদের লাথি মারা হল কেন? পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের বদলে লাথি মারা হচ্ছে? যুগ পাল্টে গেছে? পুলিশের এই কুযুক্তি চলবে না। এসপার ওসপার করো। কোর্ট গিয়ে সরকারের বলা উচিত এই ১৮ হাজার যোগ্য। আমরা এদের চাকরি দিতে চাই। পারবেন উনি? স্বেচ্ছাচারী সরকার। বিজেপির সঙ্গে বহু জায়গায় এই জিনিস হয়েছে। আন্দোলনে আমরা মার খেয়েছি। আবার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এইভাবে যদি আটকে রাখা যেত তাহলে তো দেশে কোথাও সরকার পরিবর্তন হতো না।''

শিক্ষকদের আন্দোলনে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত কেন? ( Dilip Ghosh News):-

বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের’ সদস্যেরা। সেইমতো বেলা বাড়তে না বাড়তেই বিকাশ ভবনের সামনে জড়ো হন শয়ে শয়ে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে চাকরিহারারা শিক্ষকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর সব্যসাচী দত্ত। কেন তিনি সেখানে গেলেন? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''আমার জানা নেই। তবে ওনার অভিব্যক্তিতে বোঝা গেছিল কিছুটা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওনার যা ভাষা ছিল। হতে পারে উনি ওখানকার কাউন্সিলর। তাই বলে যা ইচ্ছা করবেন? আন্দোলনকারীদের একটা সেন্টিমেন্ট আছে। তাদের উস্কে দেওয়ার কি দরকার? খবরে থাকার জন্য অহেতুক এই বিতর্ক উনি তৈরি করেছেন।''

এখানেই শেষ নয়, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ডিএ (DA News) মামলার নির্দেশ নিয়েও রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। বলেন, ''এটা প্রথম নয়। আগেও কোর্ট বহুবার বলেছে। সরকার মানেনি। বলেছে টাকা নেই। যে সরকার তার সন্তানদের ভরণ পোষণ করতে পারেনা তাদের কি ক্ষমতায় থাকা সাজে? আইন আদালত মানেনা। নিজের পক্ষে রায় গেলে সেটা রায়। বিপক্ষে গেলে সেই রায় মানেনা। এখন মানুষকে ভাবতে হবে আলাদা আলাদা আন্দোলন হবে নাকি সরকারকে পাল্টে নিজের অধিকার বুঝে নেবেন।''

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টালবাহানার শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চার সপ্তাহের মধ্যে ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে। কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে হবে নবান্নকে। এই দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব ছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৫৫% হারি ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। ফেব্রুয়ারিতে বাজেট অধিবেশনে সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য় ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিলেন। বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকরি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক অনেকটই। বর্তমানে ৩৭% ডিএ-র ফারাক রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।