সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যায়ে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ থেকে অবিলম্বে সরানোর আর্জিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগকে বেআইনি বলেও উল্লেখ করেছেন।
অবিলম্বে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ থেকে সরানো হোক। রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মণ্ডলের। একদিনে বিরোধ মুছে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের দিনই রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এই আর্জি জানিয়েছেন বলেই উল্লেখ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই মর্মে তিনি একটি লিখিত চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোসকে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর এই নিয়োগকে বেআইনি বলেও দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। এমনকী রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করেছে তিনি।
শনিবার এই বিষয় রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচান। তিনি উল্লেখ করেন,'এই রাজ্য যা স্বামী বিবেকানন্দের জায়গা, যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছেন, যেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মেছেন। যেখানে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস, স্যার আশুতোশ মুখোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মতো ব্যক্তিত্বরা জন্মেছেন। যারা বাংলায় রেনেসাস নিয়ে এসেছিল। সারা দেশের মধ্যে বাংলা ছিল শিক্ষা, সাহিত্য ও বিজ্ঞানচর্চার জন্য অন্যতম পরিচিত স্থান। সেই জায়গা থেকে আজ বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমেই অবনমের পথে। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি এবং শিক্ষাকেন্দ্রের মানের ইচ্ছাকৃত অবনতিই এর কারণ।' এর পরই সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ্য করেন রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা। গত কয়েকমাসে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর কাজ হারানোর কথা। অবশেষে তিনি রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যায়ে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ থেকে অবিলম্বে সরানোর আর্জিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগকে বেআইনি বলেও উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত নানা মনোমালিন্নের পর অবশেষে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার প্রায় দুঘন্টা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর অবশ্য তাঁকে বেশ প্রসন্নই মনে হয়েছে। রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান,' এক এক জনের কাজের স্টাইল আলাদা।' এখানেই শেষ নয় এদিন রাজ্যপালের ভূয়োসী প্রশংসাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে। লোকায়ুক্ত নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন তিন।
আরও পড়ুন -
কাঁচা হাতের অক্ষরে উঠে এল শিশু মনের বিষাদ, স্কুলের ড্রপবক্স খুলতেই হতবাক শিক্ষক-শিক্ষিকারা
‘এতও ভয় কেন বাবা?’ ত্রিপুরার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়