সংক্ষিপ্ত
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কান ধরে চেয়ার থেকে নামিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করুন।' থানা ঘেরাও করে বিজেপি নেতারা।
জয়নগরের নিহত নাবালিকার পাশে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিহতের অসুস্থ মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। দেখা করেন পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে। রবিবারই কুলতলি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। যার প্রথম সারিতেই ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিজেপির অভিযোগ পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণেই নিহত জয়নগরের একরত্তির মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ যদি ব্যবস্থা নিত তাহলে এজাতীয় ঘটনা ঘটত না। এদিন কুলতলিতে থেকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তীব্র সমালোতনা করেন।
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কান ধরে চেয়ার থেকে নামিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করুন।' তিনি কুলতলির এসডিপিও সম্বন্ধে বলেন 'গনেশ মণ্ডলকে থানায় ডেকে নিয়ে ঘোষণা করে দিন একাধিক পুলিশ আধিকারিককে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ব্লক সভাপতি সহ একাধিক পদে নিয়োগ করে দিক। থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাণ্ডা লাগিয়ে দিন। বাংলায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কে এবার বিশ্রাম নেওয়ার সময় এসেছে।' তিনি আরও বলেন, ' মাননীয় এসডিপিও সাহেব আপনি চাকরিটা তৃণমূলের করেন না. সরকারি চাকরি করেন। জনগণের চাকরি করেন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চাকরি করেন আপনার মাইনেটা মুখ্যমন্ত্রী বা ভাইপো দেয় না। যে মেয়েটি মারা গিয়েছিল তার বাবা যে দোকানে বিড়ি কিনেছিল তার ট্যাক্সের টাকা আপনার মাইনে হয়।'
এদিন সুকান্ত মজুমদার নির্যাতিতা নিহতের বাড়িতে যান। সেখানে নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আইনি সাহায্যের দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন সুকান্ত। অন্যদিকে এদিন কুলতলি যান সিনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দলও নির্যতিতারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
টিউনশন পড়তে গিয়ে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১০ বছরের ছাত্রী। ক্লাস ফোরে পড়ত। তারপর খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই রাতের বেলা বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। তারপরই পরিবার ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ তোলে। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ যদি দ্রুত পদক্ষেপ করতে তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। কিন্তু পুলিশ ছিল উদাসীন। যদিও পুলিশ সুপার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।