সংক্ষিপ্ত

ভোটের ফলাফল নিয়ে আলোচনায় কেউ কেউ সাংগঠনিক ত্রুটি অর্থাভাব, টাকাপয়সা নয়ছয়ের অভিযোগও ওঠে। বিজেপি সূত্রের খবর এই অভিযোগ ওঠার পরেই বিজেপি নেতা পাল্টা রাজ্য নেতাদের ধমক দেন।

 

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির বিপর্যয়ের কারণ ক্ষতিয়ে দেখতে শহরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল। এবার ৩০টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিজেপি ভোট ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু ১২টি আসনেই আটকে গিয়েছিল। গতবারের জেতা ৯টি আসনও ধরে রাখতে পারেনি। এই অবস্থায় হারের দায় রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতার ঘাড়েই চাপিয়ে দিয়েছিল বিজেপির নিচু তলার কর্মীরা। দলের অনেক রাজ্য নেতাও হারের দায়ে দলের অন্য গোষ্ঠীর ঘাড়ে তুলে দেয়। এই অবস্থায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা সর্বভারতীয় সম্পাদক সুনীল বনসল কলকাতায় এসে বাংলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই দলের ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা হয়।

ভোটের ফলাফল নিয়ে আলোচনায় কেউ কেউ সাংগঠনিক ত্রুটি অর্থাভাব, টাকাপয়সা নয়ছয়ের অভিযোগও ওঠে। বিজেপি সূত্রের খবর এই অভিযোগ ওঠার পরেই বিজেপি নেতা পাল্টা রাজ্য নেতাদের ধমক দেন। পাল্টা তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কেন আগে এই অভিযোগ করা হল না। তাঁর প্রশ্ন ছিল দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও কেন আগে এই অভিযোগ করা হয়নি। পাশাপাশি দলের নেতাদের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, প্রার্থী বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিজেপি সূত্রের খবর, বৈঠকে সুনীল বনসল ছাড়াও ছিলেন, বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির রাজ্য স্তরের সব নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যে বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জ়োন রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, নবদ্বীপ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জ়োনের প্রতিটিতেই নির্বাচনের আগে আহ্বায়ক এবং সহ-আহ্বায়ক নিয়োগ করেছিলেন সুকান্ত। তাঁদের সকলে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছিলেন দলের তিন সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো আর দীপক বর্মণও উপস্থিত ছিলেন। ডাকা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকেও। কিন্তু আমন্ত্রণ পেয়েও বৈঠকে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।