- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Suvendu Adhikari: 'প্রসাদ নিয়ে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত', গজা-প্য়াড়া ইস্যুতে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা
Suvendu Adhikari: 'প্রসাদ নিয়ে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত', গজা-প্য়াড়া ইস্যুতে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা
Suvendu Adhikari on Mamata: দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর থেকে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে অলআউট আক্রমণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

শুভেন্দুর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা যেখানে বিতর্ক সেখানে! তবে ঠিক বিতর্ক কিনা তা হলফ করে বলা না গেলেও দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। 'প্রসাদ' নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
'প্রসাদের' প্যাকেট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ গেরুয়া শিবিরের
গত ৩০ এপ্রিল দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর রাজ্যের সর্বোচ্চ নেত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন যে, জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বাড়ি-বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। আর এই প্রসাদ নিয়েই এখন শুরু হয়েছে তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।
'প্রসাদ' নিয়ে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত?
‘’জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইছেন''। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমোকে ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্যাড়া-গজা নিয়ে শুভেন্দুর আপত্তি
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘’আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আবার তিনি পশ্চিমবাংলার হিন্দুদের, আস্থায় আঘাত করার জন্য, একটা প্যাকেট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্যাকেটটা তৈরি হচ্ছে। এই প্যাকেটটার দাম হচ্ছে ২০ টাকা। একটা গজা একটা প্যারা। প্যাড়া বা গজা খাওয়ানোয় আমার আপত্তি নেই। ২০ টাকা বরাদ্দতেও আপত্তি নেই।
সরকারি টাকায় দীঘায় মন্দির! বড় প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা
মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘’কারণ ওনার তো কোষাগার শুন্য। ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। আমার আপত্তিটা-একদিকে, শ্রী জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বলে, ওনার হাসির মুখের ছবি-সহ যে ভাস্কর্যটা সরকারি টাকায় দীঘায় তৈরি হয়েছে। যে সার্কুলারটা ডিএম-দের পাঠানো হয়েছে। ডিএম-রা এসডিও-বিডিও-দের পাঠিয়েছেন। তাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন।''
'প্রসাদ' নয়, মিষ্টি হিসেবে গ্রহনের বার্তা শুভেন্দুর
জগন্নাথ দেবের প্রসাদ নিয়ে রাজ্যের উদ্যোগকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘’এটাকে নাম দেওয়া হচ্ছে প্রসাদ। কত বড় আস্থায় আঘাত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাড়া এবং গজা হিসেবে নেবেন। প্রসাদ হিসেবে কেউ নেবেন না। যদি অরিজিনাল হিন্দু হয়ে থাকেন।''
মমতার বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ
জানা গিয়েছে, দীঘায় জগন্নাথ ধামের যে প্রসাদ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘’দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মতোই বাড়ি বাড়ি এই প্যাকেট পৌঁছে দেবেন রেশন ডিলাররা। রেশন ডিলারদের মাধ্যমে বাধ্য করিয়ে, হিন্দুদের ভোটকে বিভাজিত করার জন্য, তিনি কেবলমাত্র হিন্দুধর্মের উপর বারেবারে এই ধরণের আঘাত করেন।''
মমতা বনাম শুভেন্দুর 'প্রসাদ' রাজনীতি
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়া হয়েছে দীঘার জগন্নাথ মন্দির। ফলে পরিকল্পনা এবং অন্যান্য আবহে পুরীর মতোই করা হয়েছে। পোশাকি ভাবে বলা হচ্ছে ‘জগন্নাথধাম’। সেখানে পুরীর মন্দির চত্বরের মতোই চত্বর গড়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে জগন্নাথের মাসির বাড়িও। আর যা নিয়ে উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

