সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র কেজরিওয়ালই নন, আগেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নবান্ন বৈঠক করেছেন। বিজেপি বিরোধী বক্তব্যকে আরও বেশি করে উৎসহ দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয়কে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য ব্যবহার করছে। এই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের অনৈতিক ব্যবহার করছে। এটি একটি সরকারি সম্পত্তি। কিন্তু সেই সরকার সম্পত্তির ব্যবহার করা হচ্ছে অনৈতিকভাবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজলিওয়ালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নেন বিরোধী জোট সংক্রান্ত বিষেয় নবান্নেই বৈঠক করেছিলেন। তার আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও তাঁর ডেপুটি তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও নবান্নেই সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকের পরই মমতা বিরোধী জোটের কথাও বলেছিলেন নবান্ন থেকে। এই দুটি বিষয়কেই হাতিয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র কেজরিওয়ালই নন, আগেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নবান্ন বৈঠক করেছেন। সেখানে বসেই বিজেপি বিরোধী বক্তব্যকে আরও বেশি করে উৎসহ দিয়েছেন। শুভেন্দুর প্রশ্ন একটি সরকার সম্পত্তি কী বিজেপি বিরোধী বক্তব্যকে আরও তুলে ধরার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? যদি বৈঠকে কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত বা সরকারি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে তবে তা কেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল না?
কারণ সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নবান্নে গিয়েছিলেন। তাঁদের আগে নবান্নে গিয়েছিলেন নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। দুটি ক্ষেত্রেই বিজেপি বিরোধী জোটের কথাই উঠে এসেছিল বৈঠক শেষে। তাই শুভেন্দু এই ভাষাতেই আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যাইহোক শুভেন্দুর অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। এর জন্য কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন নিয়। ২০২৪ সালো লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্য স্পষ্ট হচ্ছে । তাতেই বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরিওয়ালকে আশ্বস্ব করেছেন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে আমলা নিয়োগ ও বদলি নিয়ন্ত্রমে কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে দিল্লির পাশেই থাকবে রাজ্য। অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে মমতা ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নবান্নে নীতিশ কুমারকে পাশে বসিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী জোটের কথা ঘোষণা করেছিলেন। মমতার এই দুটি পদক্ষেপ বিজেপি নেতারা যে ভালভাবে নিচ্ছে না তা আবারো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুনঃ
Fuel Price: জামাই ষষ্ঠীর দিন লং ড্রাইভে যাওয়ার আগে দেখে নিন পেট্রোল আর ডিজেলের দাম কত
Weather Update: ঝড়বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি অব্যাহত কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকায়, আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস
অভাবী মেধামী শুভ্রাংশু সর্দার, কঠোর পরিশ্রম আর ছকভাঙা কম্বিনেশই সাফল্যের চাবিকাঠি