সংক্ষিপ্ত

Congress reaction : ওয়াকফ সংশোধনী আইনের কারণে রাজ্যে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।

 

Congress reaction on Violence: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের কারণে রাজ্যে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। শুভঙ্কর বলেন, বাংলায় এই হিংসার ঘটনা ঘটা উচিৎ ছিল না। কারণ এটি শান্তি ও সম্প্রীতির এলাকা। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনের কারণেই গোটা বিষয়টিকে রাজনীতিকরণ করতে চায় বিজেপি আর তৃণমূল। তিনি শাসক বিরোধী দলকেই নিশানা করেন। তিনি বলেন ভোটে জেতার জন্য দুই দলই জাতপাত আর ধর্মকে ব্যবহার করছে।

শুভঙ্কর সরকার বলেন, 'এটা বাংলায় ঘটা উচিত ছিল না। বাংলা শান্তি ও সম্প্রীতির স্থান। আমি বাংলা এবং মুর্শিদাবাদের জনগণের কাছে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আবেদন করছি। ২০২৬ সালে বাংলায় নির্বাচন আছে, এই কথা মাথায় রেখে, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সুবিধার জন্য পরিস্থিতিকে রাজনীতিকরণ করতে চায়। এই লোকেরা ভোট পেতে ধর্ম ও বর্ণ ব্যবহার করতে চায়। সকলের এর বিরোধিতা করা উচিত...'

অন্যদিকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ববেন, শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দুদের হুমকি দেওয়া ও রাজ্যকে বাংলাদেশে পরিণত করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ।' তিনি আরও বলেন, মমতার নির্দেশেই রাজ্য পুলিশ চুপ করে বসে রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তাঁরা দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেন, 'পুলিশ কিছুই করছে না এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চুপ করে আছে। তিনি হিন্দুদের হুমকি দিয়ে এখানে একটি বাংলাদেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু হিন্দুরা সর্বদা লড়াই করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা দিল্লির সাথে যোগাযোগ করছি, এবং (কেন্দ্রীয়) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবকিছু সম্পর্কে অবগত আছেন।'

মুর্শিদাব-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বাড়িঘরে লুটপাট হচ্ছে। তিনি বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'পরিস্থিতি ভয়াবহ। হিন্দু মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, এবং ঘরবাড়ি লুট করা হচ্ছে। পুলিশ চুপ করে আছে। গতকাল, অমিত শাহ (কী ঘটছে সে সম্পর্কে) তথ্য নিয়েছেন। পরিস্থিতি যেভাবে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে তা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।