সংক্ষিপ্ত

গুলিবিদ্ধ ধর পড়ে রয়েছে মাটিতে! কাটা মুণ্ড নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা, নৃশংস ঘটনার সাক্ষী নদিয়া

নৃশংস! শরীর গুলিবিদ্ধ, শরীর থেকে আলাদা মুণ্ড। সেই কাটা মাথার কোনও খোঁজ নেই! সপ্তম দফা নির্বাচনের পরে নির্দয় ভাবে খুন হল এক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীগঞ্জের দেবগ্রামের চাঁদপুর এলাকায়। মৃত এই কর্মীর নাম হাফিজুল শেখ বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজ পায়নি পুলিশ।

ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার। পরিবার মারফত জানা গিয়েছে, ভোটের জন্য সকাল থেকে বাড়ির বাইরে ছিল হাফিজুল। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফিরছেন না দেখে চিন্তায় পড়েন তাঁর পরিবার। তারপর বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তার রক্ত মাখা ভয়াবহ দেহ খুঁজে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু শরীরটাই পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তায়। মাথার কোনও হদিশ পায়নি তাঁরা। মৃতদেহের জামাকাপড় ও শরীরের চিহ্ন দেখে হাফিজুলকে সনাক্ত করে তাঁর পরিবারের লোক।

পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।  মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়। তবে এখনও পর্যন্ত মৃতদেহের মুণ্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।জানা গিয়েছে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকার বেশ কিছু সংখ্যালঘুও যোগ দেন বিজেপিতে। লোকসভার আগে এলাকায় ভালোই জায়গা করে নিয়েছিল এই কেন্দ্রীয় দল, সেই কারণে হাফিজুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলীয় কর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে হাফিজুলের ভাই জয়েনউদ্দিন জানিয়েছে, প্রথমে ক্যারাম খেলছিল হাফিজুল পরে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গুলি করে তাঁর মাথা কেটে দেয় দুষ্কৃতিরা। "কাসেম, নাসিল, সব্বুর, আলি ও বান্টু নামের তৃমূলের গুন্ডারাই নাকি খুন করেছে হাফিজুলকে" এমনই জানিয়েছেন মৃতের ভাই। আগে সিপিএম করত হাফিজুল আর তার ভাই। পঞ্চায়েত ভোটের পরে বিজেপিতে যোগ দেয়। এই গ্রামে নাকি বিজেপি ভাল সংগঠন করেছে বলেই নাকি এমন নৃশংস ভাবে খুন হল হাফিজুল, বলে দাবি তাঁর পরিবারের।