Bratya Basu: চেনা মুখোশের আড়ালে অচেনা ব্রাত্য বসুকে চেনেন? না নাট্যকার ব্রাতবসু নয়, অধ্যাপকও নন, এমনকী মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও নন। এই অচেনা ব্রাত্য বসু সাধারণ মানুষের মুশকিল আসান ব্রাত্য।
চেনা মুখোশের আড়ালে অচেনা ব্রাত্য বসুকে চেনেন? না নাট্যকার ব্রাতবসু নয়, অধ্যাপকও নন, এমনকী মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও নন। এই অচেনা ব্রাত্য বসু সাধারণ মানুষের মুশকিল আসান ব্রাত্য।
প্রতি শনিবার নিয়ম করে বসেন সাউথ দমদম পৌরসভায়। ওই একটা দিন মন্ত্রী যেন,সাধারণ মানুষের একেবারেই নিজের লোক। নিজের কানে শোনেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ব্রাত্য বাবুর কাছে আসেনতাঁরই বিধানসভার বাসিন্দারা।
এ যেন পরিচিত মন্ত্রীর ছদ্মবেশে একেবারে অচেনা এক মানুষ! অচেনা ব্রাত্য বসু। ঘড়ি ধরে এক্কেবারে ১১ টা। না ৫ মিনিট আগে, না ৫ মিনিট পর। ঠিক সময় মতো মানুষের সাহায্যের জন্য পৌঁছে যান তিনি। একে একে লাইন পড়ে সেখানে। ভীষণ নিয়ম মাফিক সকলেই দেখা পান। কেউ আগে বা কেউ পড়ে নয়। যার নাম যখন আসে, ঠিক তখনই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
এরপর মন দিয়ে সকলের সমস্যা শোনেন মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু। ওই কিছুটা সময় যেন তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে একেবারে বাড়ির লোকের মতো মিশে যান। সকলকে সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। মুখ ম্লান করে তাঁর সঙ্গে যারা বিপদে পড়ে দেখা করতে আসেন প্রায় প্রত্যেকেই মুখে হাসি নিয়ে ঘরে ফেরেন।
তাই..তো এই এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের মুখের বক্তব্য,"কিছুটা সময় মনে হয় মন্ত্রী কোথায়! উনি তো নিজের বাড়ির লোক,বিপদে তিনি পাশে আছেন সব সময়, আমরা জানি।"

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সিপিআইএম নেতা গৌতম দেবকে পরাজিত করে দমদমের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। রাজনীতির আচ্ছাদনে মানুষের কাজ করবেন, এই প্রতিশ্রুতি ছিল ভোটে জেতার পর থেকে, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও তিনি রক্ষা করে চলেছেন একই ভাবে। এক কথায় বশিরভাগ মানুষই মেনে নিয়েছেন এই কথা। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁর বিধানসভার বাসিন্দারা। এ যেন চেনা মন্ত্রীর আড়ালে কোনও অচেনা মানুষ। যিনি সবার বিপদের একমাত্র মুশকিল আসান।
নাট্যকার হিসাবে তাঁর প্রতিভার অন্ত নেই। তাঁর পরিচালনার একের পর এক নাটক বাঙালির মন ছুঁয়ে যায় আজও। কেনই বা হবে না? বাংলা নাটকের আত্মার সঙ্গে যিনি জড়িয়ে ছিলেন সেই নাট্যব্যক্তিত্ব বিষ্ণু বসুর পুত্র তিনি। বাংলার অধ্যাপকও তিনি, আবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীও তিনি। সব মিলিয়ে তিনি যেন সর্বেসর্বা! হাজার কাজের মাঝেও ওই একটা দিন শুধু সাধারণ মানুষের জন্য, কয়েকটা মিনিট শুধু মানুষের জন্য তুলে রাখেন.. এই অচেনা ব্রাত্য....।


