Suvendu Adhikari: কোচবিহারে কনভয়ে হামলার পর একধাক্কায় বাড়ল শুভেন্দুর নিরাপত্তা। এবার শুভেন্দুর সিকিউরিটির দায়িত্বে কারা? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Suvendu Adhikari: কোচবিহারের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার পর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারীর সিকিউরিটি হিসাবে সিআইএসএফকে আগেই নিয়োগ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে শুভেন্দু অধিকারী দমদম বিমানবন্দরে ফিরে আসার পর দেখা যায় তার কনভয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে বহাল করা হয়েছে বিএসএফকে (BSF)।
প্রচুর বিএসএফ জওয়ান শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িটি ঘিরে রেখেছে। অর্থাৎ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী কনভয়। নিরাপত্তা রক্ষীদের একাধিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরে নেমে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘’তার ওপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করেছে বাংলাদেশি রোহিঙ্গা ও জেহাদিরা।'' কোচবিহারে হামলার ঘটনার পর কি ঘটেছিল তা জানতে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।
সেখানে কী ঘটেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তা জানতে চেয়েছে বিস্তারিতভাবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার কোচবিহারে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে আগে থেকেই কালো পতাকা নিয়ে খাগড়াবাড়িতে জমা হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দুর কনভয় ঢুকতেই লাঠি দিয়ে আঘাতের পাশাপাশি পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
শুভেন্দু যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি পুলিশের গাড়িও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর সেই কনভয় পৌঁছায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেন তাকে মেরে ফেলতেই পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছিল।
অন্যদিকে, কোচবিহার শহর লাগোয়া খাগড়াবাড়িতে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের তরফেও একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা জানিয়েছেন, ধৃতরা হল রঞ্জিত দে, জহিরুল ইসলাম, শুখলাল রবিদাস, আশরাফুল আলম, হরিধন সরকার, মহম্মদ হাবিব ও শহিদুল ইসলাম। প্রত্যেকেই কোচবিহার-২ এর বাসিন্দা। তাঁরা তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহারে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কনভয় কোচবিহার শহরে ঢোকার মুখেই খাগড়াবাড়িতে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। সেখানেই তাঁর গাড়ি সহ পুলিশের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। এবার এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


