Murshidabad News: ওপার উত্তপ্ত হতেই এপারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ল কড়া প্রহরা। সিআরপিএফ-বিএসএফের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূ্র্ণ প্রতিবেদন… 

Murshidabad News: বাংলাদেশ কাণ্ডের জেরে এবার কড়া নজরদারি পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাতে। সকাল থেকেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে এবং মোটর বাইকে করে বিশেষ টহলদারি দেওয়া হয়। 

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে নজরদারি:-

উত্তপ্ত বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের অফিস ভাঙচুর সহ একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তাই বাংলাদেশের ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তে যাতে কোন আঁচ না এসে পড়ে সেই কারণেই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঠান্ডার মধ্যেও কড়া নজরদারি পাহাড়া বাড়ানো হলো বলেই জানা গিয়েছে। বিএসএফ, সিআরপিএফ-কে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই মোটর বাইক এবং গাড়িসহ পায়ে হেঁটে তারা নজরদারি চালান। আগামী দিনেও রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফের পক্ষ থেকেও টহলদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে।

জঙ্গিপুর পুলিশ সুপার অমিত কুমার সাউ জানান, প্রত্যেকদিনই রাজ্য পুলিশের টহলদারি চলে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। এদিন উনার নেতৃত্বে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি চলছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে চলেছে তার প্রভাব যাতে এই এলাকায় কোনভাবে না পড়ে সেই কারণেই এই বিশেষ উদ্যোগ। 

এদিকে, বাংলাদেশের (Bangladesh) ময়মনসিংহে (Mymensingh) ধর্ম অবমাননার (Blasphemy) অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাশের (Dipu Chandra Das) নির্মম হত্যার ঘটনার নিন্দায় সরব হলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আশ্রয়ে থাকা এই সাহিত্যিক তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'ভালুকার একটি কারখানায় কাজ করতো দীপু চন্দ্র দাস। নিতান্তই দরিদ্র শ্রমিক। 

শুনেছি কারখানায় দীপুর পদোন্নতি হয়েছিল, যে মুসলমান সহকর্মীর পদোন্নতি হয়নি, সে ঈর্ষায় অন্ধ হয়ে এক ভিড় লোকের মধ্যে দীপুকে ঠেলে দিয়ে ঘোষণা করে দিল দীপু ইসলামের নবী সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। ব্যস। নবীর উন্মাদ উম্মতেরা ঝাঁপিয়ে পড়লো দীপুর ওপর। অতঃপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিল নাকি তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিল জানিনা, তবে এটা ঠিক, দীপু ছিল পুলিশের হেফাজতে। এই ভিডিওটিই তার প্রমাণ।'

বাংলাদেশের পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে তসলিমা লিখেছেন, 'দীপু পুলিশকে জানিয়েছে কী ঘটেছে, কোনও দোষ তার নেই জানিয়েছে, সে নবী সম্পর্কে কোনও মন্তব্যই করেনি, সবই ওই সহকর্মীর ষড়যন্ত্র, জানিয়েছে। পুলিশ দীপুর সহকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। সে না হয় না নিক, কিন্তু দীপুকে তো নিরাপত্তা দেবে, না সেটিও দেয়নি।

 পুলিশের মধ্যে জিহাদ-প্রেম কিন্তু বেশ আছে। এই জিহাদ-প্রেমের আতিশয্যে পুলিশ কি দীপুকে ছুঁড়ে দিয়েছে এক পাল উন্মাদের দিকে? নাকি পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে জিহাদি জঙ্গিরাই ধরে নিয়ে গিয়েছে দীপুকে, পুলিশ বাধা দিতে পারতো কিন্তু দেয়নি! দীপুকে নিয়ে এরপর রীতিমত উৎসব করেছে। পুলিশের চোখের সামনেই! দীপুকে পিটিয়ে, ঝুলিয়ে, পুড়িয়ে নিকৃষ্ট জিহাদি উৎসব!'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।