সংক্ষিপ্ত

আদালত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নোটিশ জারি করা হবে।

 

সন্দেশখালির নারী নির্যাতন ও অশান্তি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে রাজ্য ও উর্ধ্বতন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নোটিশ জারি করার নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ও আইন লঙ্ঘন করে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে মিডিয়া রিপোর্টে তিনি যে ব্যথিত ও বিরক্ত হয়েছে তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

আদালত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নোটিশ জারি করা হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি। বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় সন্দেশখালির স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টকে সহযোগিতা করার জন্য অ্যাডভোকেড জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ করেছেন। রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর দেবাশীষ রায়।

সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ফেরার নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীরা জোর করে জমি দখল করেছে। স্থানীয় মহিলাদে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ধর্ষণও করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। স্থানীয় মহিলারা বেশ কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছিল। তারা অবরোধ বিক্ষোভও করে। ধীরে ধীরে অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। যা এদিন আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এক্ষেত্রে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়নি। তাই ১৪৪ ধারা খারিজ করা হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে ওই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। অন্যদিকে এদিন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বসিরহাট।