Calcutta HC On TET: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার আবহে এবার প্রাথমিক টেটের ৩২ হাজার চাকরি মামলায় বড় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। আরও জানতে পড়ুন…
Calcutta HC On TET: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার আবহে এবার প্রাথমিক টেটের ৩২ হাজার চাকরি মামলায় বড় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৭ মে (2014 Primary Recruitment case)।
সূত্রের খবর, আগামী ৭ মে- ২০১৪ সালের প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের চ্যালেঞ্জ এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court Division Bench)। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চে আগামী ৭ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শুনানি শুরু করবে।
এদিকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে টেট মামলা উঠলে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিল মানেই আইনজীবীদের দীর্ঘ তালিকা। তাঁরা বক্তব্য রেখেই যাবেন। এত সময় নেই আদালতের হাতে। ফলে যাঁদের একই বক্তব্য ও একই ইস্যু, সেখানে আইনজীবীদের একজনের নেতৃত্বে বক্তব্য জানাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলায় একক বেঞ্চে শুনানির সময় পক্ষ ছিল না চাকরিহারা ও বঞ্চিত আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তাই বিচারপতি ৭ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন পর্ষদ আগে তাদের বক্তব্য জানাবে আদালতে।
অন্যদিকে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদনকারীদের বক্তব্য, ''আমরা শেষ ৮ বছর ধরে চাকরি করছি। ২০১৭ সালে আমাদের নিয়োগ হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালে মামলা হয়। একক বেঞ্চে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা বলে। ৪ মাসে আমাদের পার্শশিক্ষকদের মতো বেতন দেবে বলা হয় কিন্তু আমরা পার্টি ছিলাম না। তারপর মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। একক বেঞ্চের নির্দেশ সেটা সাইট করা হয়। আমরা কাজ করছি।''
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার চাকরি প্রার্থী। পর্ষদ ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। কিন্তু ওই নিয়োগে একাধিক ‘ত্রুটি’র অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তবে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে।
প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য (West Bengal Government)। গত ৭ এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সৌমেন সেন। সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই ঠিক হয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৭ মে। ওই দিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শোনা হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
