SSC Recruitment: নতুন করে এসএসসির পরীক্ষায় বসলেই মিলবে অতিরিক্ত ১০ নম্বর। চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জন্য প্রকাশ্যে নতুন বিজ্ঞপ্তি। জানুন বিশদে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ে…
SSC Recruitment: নানা টালবাহনার পর অবশেষে ৩০ মে প্রকাশিত হয়েছে SSC নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। 'যোগ্য চাকরিহারাদের' জন্য পরীক্ষায় বসার নতুন বিজ্ঞপ্তি। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র চাকরির পরীক্ষাতে বসলেই মিলবে ৩৬ নম্বর! কারণ, নতুন নিয়মে অ্যাকাডেমিক স্কোর হিসেবে ১০ নম্বর ধার্য করা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণি শুধুমাত্র স্নাতক প্রয়োজনে স্নাতকোত্তর। এবং একাদশ-দ্বাদশের জন্য স্নাতকোত্তর নম্বর গ্রাহ্য হবে। আসুন জেনে নিই কীভাবে ধার্য করা হবে নম্বর?
৬০ শতাংশের বেশিতে দেওয়া হবে ১০ নম্বর।
৫০-৬০ শতাংশের মধ্যে ৮ নম্বর।
৫০ শতাংশের কম ৬ নম্বর।
এছাড়াও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেওয়া হবে ওয়েটেজ নম্বর। জানা গিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণি ও একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্রতিবছর হিসেবে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ২ নম্বর করে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর দেওয়া হবে। এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে অভিজ্ঞতার জন্য ১ নম্বর করে সর্বোচ্চ ৫ নম্বর দেওয়া হবে। এবং যাঁদের শিক্ষকতার পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের পুরো ১০ নম্বর দেওয়া হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতির নিয়ম:-
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর-
লিখিত পরীক্ষা ৬০ নম্বর
ইন্টারভিউ ১০ নম্বর
ডেমো ক্লাস ১০ নম্বর
উচ্চ প্রাথমিক স্তর:-
বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা ২৫ নম্বর
ইন্টারভিউ ১৫ নম্বর
ডেমো ক্লাস ১৫ নম্বর
মোট ওয়েটেজ ৪০ নম্বর।
যারফলে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা অভিজ্ঞতা ও অন্যন্য ভিত্তিতে মোট ৩৬ নম্বর করে পাবেন। তবে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পাবেন আরও বেশি নম্বর। ফলে নতুন অনভিজ্ঞ পরীক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই কম তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে নতুন বিধি প্রকাশিত হল। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ওই গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। নয়া বিধি অনুসারে জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপরে। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। আগে এটি ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে এটি ছিল ৩৫ নম্বর। ইন্টারভিউয়ে ক্ষেত্রে নম্বর আগেও সর্বোচ্চ ১০ ছিল এখনও তা-ই রাখা হয়েছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এ ছাড়া লেকচার ডেমোস্ট্রেশন এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং লেকচার ডেমোস্ট্রেশন দুটিই নতুন সংযোজিত হয়েছে। এই দুটি মিলিয়ে সর্বোচ্চ মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ ছাড়া তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।
বিধি অনুসারে, মেধাতালিকা/প্যানেল এবং অপেক্ষমান মেধাতালিকা/ওয়েটিং লিস্ট র মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে সেগুলির মেয়াদ আরও ছমাস বৃদ্ধি করতে পারবে কমিশন।
নতুন পরীক্ষাবিধিতে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুবছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে। তার পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত করতে হবে। নতুন পরীক্ষাবিধিতে ওএমআর শিট সংরক্ষণের উপর যে জোর দেওয়া হতে পারে, তা আগেই অনুমান করেছিলেন অনেকে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত পরীক্ষাবিধিতেও তেমনটাই প্রতিফলিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিয়োগবিধিতে উচ্চ প্রাথমিকের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। বিধি অনুসারে, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের জন্য আগের মতো এখনও টেট পাশ বাধ্যতামূলক। টেটের প্রাপ্ত নম্বরের সর্বাধিক গুরুত্ব থাকবে সর্বোচ্চ ৪০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৫ নম্বরের। ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপর ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ নম্বর করে বরাদ্দ হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


