সংক্ষিপ্ত

পুরসভা আর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ৬ হাজার পদে চাকরি বিক্রি হয়েছিল। অনুমান করেছে ইডি। তৈরি করেছে রেটচার্টও।

 

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রীতিমত বিপর্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস। তারওপর ঘাসফুল শিবিরের কাছে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরসভা আর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নিয়োগ দুর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি পুরসভা ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দুর্নীতি নিয়েও তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে কত টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি।

চাকরি বিক্রির রেটচার্ট

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী চাকরি বিক্রির রেটচার্ট হলঃ চার লক্ষ টাকার বিনিয়ম বিক্রি হয়েছে শ্রমিক, ঝাড়ুদার, অ্যাম্বুলেন্স পরিচারক, ড্রাইভার, রাজমিস্ত্রি, স্যানিটারি সহকারী, ডাম্পার অপারেটরের চাকরি। কেরানি ও পৌরসভা পরিচালিকত স্কুলগুলির শিক্ষক নিয়োগরে জন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নেওয়া হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা করে। সহকারি ক্যাশিয়ার পদের জন্যও দর উঠেছিল ৫ লক্ষ টাকা। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদের দাম ৬ লক্ষ চাকা। তদন্তকারীদের একটি অংশের দাবি পৌরসভা আর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদের জন্য এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিয়ময় চাকরি বিক্রি হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এক অভিযুক্তের অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় পুরসভা আর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য হাতে পায় তদন্তকারীরা। বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্য ও কাগজপত্রের রেকর্ড রয়েছে তদন্তকারীদের হাতে, যা দ্বিতীয় নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলেও মনে করছে তারা।

ইডির রিপোর্ট অনুসারে ২০১৪-১৫ সালে এই দুর্নীতি শুরু হয়েছিল। সেইসময় থেকে প্রায় ৬০ পুরসভা ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়ে প্রায় ৬ হাজার শূন্যপদ পুরণ করা হয়েছে। কাঁচরাপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর, হালিশহর, দক্ষিণ দমদম,উত্তর দমদম, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য রয়েছে বলেও ইডি সূত্রের খবর। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে অর্থ সংগ্রহকারী এজেন্টদের তালিকাও বাজেয়াপ্ত করেছে। লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় হয়েছে বলেও অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, ইডির হাতে যে তথ্য রয়েছে তাতে স্পষ্ট প্রার্থীদের বিবরণ, প্রোফাইল, কোন পদের জন্য প্রার্থীরা কত টাকা দিয়েছে। ইডি সূত্রের খবর পুরসভার চেয়ারপার্সেন ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সমস্ত তথ্য যাচাই করেই তবেই এই বিষয়ে জেরা করা হবে। এক সরকারি আধিকারিক দাবি করেছেন, পুরসভাগুলি ঘুষের বিনিময় চাকরি দিয়েছে। প্রায় ৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাবি ইডি বা যে কোনও তদন্তকারীর হাতে যদি তথ্য প্রমান থাকে তাহলে তাদের উচিৎ দ্রুত সেগুলি প্রকাশ করা, অপরাধীকে গ্রেফতার করা। তিনি আরও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কখনও দোষীদের পাশে দাঁড়ায়নি।

আরও পড়ুনঃ

শান্তনুরা হুমকি দিচ্ছে বলে পারিবারিক বিবাদ ফাঁস করলেন মমতাবালা, ঠাকুরবাড়ি ইস্যুতে দিলীপের প্রশ্ন অভিষেককে

'ঠাকুরবাড়িতে মোতায়ন ৫ হাজার পুলিশ কর্মী গুন্ডাদের নিরাপত্তা দিয়েছে', বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর

অভিষেক-শান্তনু দ্বন্দ্ব ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে, মূল মন্দিরে ঢুকতে না পেরে হুমকি তৃণমূল নেতার