সংক্ষিপ্ত

বিকালে ইডি কর্তারা তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাতই রাতের দিকে তাঁর বুকে ব্যথা ওঠে। 

গরু পাচার মামলায় ইডির মুখোমুখি বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি লটারি সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে তাঁকে একের পর এক কড়া প্রশ্ন করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শনিবার তাঁকে জেলের অন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেন কর্তারা। সেদিন ঠাণ্ডা লাগার দরুন বেশ অসুস্থ ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। বিকালে ইডি কর্তারা বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাতই রাতের দিকে তাঁর বুকে ব্যথা ওঠে।

রবিবার তাঁকে দেখে অসুস্থ বলেই বোঝা যাচ্ছিল। এমনিতে তিনি প্রায় ১০০ দিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন, এখনও অবদি প্রায় ১০ কেজি ওজনও কমে গিয়েছে তাঁর। জেল কর্তৃপক্ষকের তরফে অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল যে, আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তাই বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়েছেন, এমনিতে গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যা তাঁর নেই। কিন্তু, রাতের দিকে হলকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন তৃণমূল নেতা।

রবিবার সকালেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রায় ৪৫ মিনিট হাসপাতালে ছিলেন তিনি। তিন জন চিকিৎসক মিলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপর হাসপাতাল থেকে বার করে আনা হয় তাঁকে। নিজে হেঁটেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন কেষ্ট। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, “বুকের বেদনা, একটা কথা কতবার বলবো।”

শনিবার রাতে অনুব্রত মণ্ডলের বুকে ব্যথা হয়। তৎক্ষণাৎ কালবিলম্ব না করে জেল কর্তৃপক্ষ পরদিন সকালেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তকারী সংস্থার জেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত। জেল সূত্রে খবর, প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেই হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। জেলের ভেতরেই তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক কিছু বন্দোবস্ত রাখা ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর জন্য করা থাকে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থাও। কিন্তু, শনিবার রাতে জেল কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল যে, এই সাপোর্টে এখনই অনুব্রতর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তড়িঘড়ি তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে।

রবিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালে ঢুকেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁকে দেখেই অসুস্থ বলে মনে হচ্ছিল। হাসপাতালের তরফে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার কীর্তি নায়েক জানিয়েছেন, ‘‘উনি (অনুব্রত) জানান, বুকে ব্যথা অনুভব করছেন। তাই ইসিজি করা হয়েছে। চেস্ট এক্স-রে করা হয়েছে। কোনও অসুবিধা দেখতে পাচ্ছি না। তা ছাড়া, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণও স্বাভাবিক আছে বলে দেখলাম। ওজনও ঠিকঠাকই রয়েছে।’’


আরও পড়ুন-
টুইটারে আর ‘নিষিদ্ধ’ নন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনলেন এলন মাস্ক
‘এমার্জেন্সি জারি করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন’, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দিলীপ ঘোষের ভবিষ্যদ্বাণী
পঞ্চায়েত ভোটের আগে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জোরদার দাবি, কেন্দ্রের দরবারে সুপ্রিমো বিমল গুরুং