গত ৩০ জুন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তিন বিজেপিতে কর্মীকে খুনের ভার সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৯ সালে ওই তিন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ আগেই দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে হিংসায় তিন বিজেপি নেতা খুনের মামলার তদন্তের ভার গ্রহণ করল সিবিআই। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালি-কাণ্ডের পর থেকেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে। বিজেপির তিন কর্মী খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েই সিবিআই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। যদিও এই ঘটনায় আগেই তার ছিল। কিন্তু সিআইডি সেই নাম বাদ দিয়েছিল।
গত ৩০ জুন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তিন বিজেপিতে কর্মীকে খুনের ভার সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৯ সালে ওই তিন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন শাহজাহান। তখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা। সেই ঘটনার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালির বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। নিহত তিন জনই বিজেপি কর্মী। এই মামলায় প্রথমিক চার্জশিটে নাম ছিল শাহজাহানের। কগিন্তু সিআইডি তদন্তের ভার হাতে নিয়ে শাহজাহানের নাম বাদ দেয়। তেমনই দাবি নিহতদের পরিবারের। ২০২২ সালে একটি খুনের ঘটনাতেও নাম জড়ায় শাহজাহানের। কিন্তু পরে সে জামিন পায়।
২০২৪ সালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি আর আধা সেনার জওয়ানরা। এই ঘটনার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময়া সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতন, তোলাবাজি, কৃষিজমি বেআইনিভাবে দখলকার, গুন্ডাগিরি করার অভিযোগ ওঠে। তখনই তৃণমূল কংগ্রেস তাকে সাসপেন্ড করে। যাইহোক সেই থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন শেখ শাহজাহান।


