সংক্ষিপ্ত
টয় ট্রেনের রুট বদল! যাত্রী না হওয়ায় কী সিদ্ধান্ত নিল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল?
পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের ছিল টয় ট্রেন। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে চলে ছোট্ট একটা ট্রেন যার জন প্রিয়তা দেশ থেকে দেশান্তরে। কিন্তু এই টয়ট্রেনেই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে গিয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকদের। কারণ যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম।
২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত টয়ট্রেনে আয় ছিল ১৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ৷ প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী চড়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে ওই ছয় মাসেই আয় কমে হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ফলে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকায় ধ্বসের কারণে যেতে পারেনি পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, বেশ কিছুদিন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কার্শিয়াংয়ের তিনধারিয়া ও দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বন্ধ রাখতে হয় ট্রেন।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুর দুয়ার পর্যন্ত প্রথমে সপ্তাহে তিনদিন চলত টয়ট্রেন পড়ে সপ্তাহে চারদিন চালানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মহানন্দা, গরুমারা, বক্সা, জলদাপাড়া বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলা এই ট্রেনে গিজগিজে ভিড় থাকলেও এখন আর ভিড় হচ্ছে না এই ট্রেনে। তাই রুট বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
এবার মালবাজার থেকে গরুমারা হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা লাইনে চলতে পারে টয়ট্রেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অমরজিৎ গৌতম জানান, 'ভিস্তাডোমে আমরা বর্তমানে সেভাবে যাত্রী পাচ্ছি না। যে কারণে এই ট্রেনটিকে মালবাজার থেকে গরুমারা হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা লাইনে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এখনও সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি।'
অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেছেন রেলের সময়ের কারণেই যাত্রী কম। কারণ তিস্তাডোম কোচ সহ ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন সকাল ৭টায় নিউ জল্পাইগুড়ি থেকে ছাড়ে। কলকাতা থেকে ট্রেনে আসা কোনও পর্যটকই ওই দিন এই ট্রেন ধরতে পারেন না।