সংক্ষিপ্ত

নভেম্বর মাসে নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তিনি দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে চান বলে জানা গেছে।

আসন্ন ২০২৩ সালেই বঙ্গে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই লেগে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। শাসকদলের পক্ষ থেকে জনসমর্থনের লক্ষ্যে এ বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকার কর্মসূচি এবং রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জোর দেওয়ার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১৪ নভেম্বর বিকেল ৪টে নাগাদ নবান্নে দ্রব্যমূল্য কমানোর উদ্দেশ্যে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, উদ্যানপালন মন্ত্রী সুব্রত সাহা, মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। উল্লিখিত দফতরগুলির মন্ত্রীরা ছাড়াও ওই দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিত থাকাতে বলা হয়েছে উক্ত বৈঠকে। জানা গেছে, দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন ১৪ তারিখ। হাজির থাকবেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও।

২০২৩ সালের একেবারে শুরুর দিকেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে ভোটার তালিকা। তালিকা ঘোষণার পরেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচন কমিশনের ভোটের প্রস্তুতি। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্তরকমের স্থানীয় সমস্যা বা বিষয়গুলি যে ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়, তা শাসকদলের অজানা নয়। তাই রাজ্যের মানুষের কাছে কম দামে বিভিন্ন বাজারজাত পণ্য, যেমন শাকসবজি, ডিম, মাছ, মাংস, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।

কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন বাজারের কেনা-বেচার খোঁজ খবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এই খোঁজখবরেই তিনি জানতে পেরেছেন যে, শুধুমাত্র শহরাঞ্চল নয়, বাংলার বহু গ্রামীণ এলাকাতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এরপরেই তিনি এই বৈঠকের বিষয়ে যথাযথ নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকটি আদতে প্রশাসনিক দফতরের মধ্যে হলেও প্রকৃতপক্ষে এর নেপথ্যে পঞ্চায়েত ভোটের কৌশল রয়েছে বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সমস্ত মানুষই জড়িয়ে থাকেন এবং এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য লেগেই থাকে। শাসক দলের ধারণা, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে না পারলে এই সমস্যা পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

আরও পড়ুন-
‘রামমোহনের মতো অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও একজন সমাজ সংস্কারক’, শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বিচারপতির প্রভূত প্রশংসা
আইআইটি খড়গপুরে সুযোগ পেয়েছে মেধাবী ছোটন, খরচ জোগাতে সরকারের কাছে কাতর আর্জি ফেরিওয়ালা বাবার
ডিআরএম নয়, ভারতীয় রেলের প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করবে কেন্দ্র সরকারই, বড়সড় ঘোষণার পরেই স্বস্তি যাত্রীদের