Mamata Banerjee on Durgapur rape case: ঘটনার প্রায় এক দিন পরে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। 

দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে ঘটনার প্রায় এক দিন পরে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, ছাত্রী রাতবিরেতে কেন বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দায় পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কলেজের ওপরই চাপিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোাধ্যায়ের মন্তব্য দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,'দুর্গাপুরের ঘটনা আমাকে নয়, পুলিশকে বলুন। ওড়িশার সমুদ্রসৈকতে কয়েক দিন আগে তিনকে ধর্ষণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? বেসরকারি কলেজের ঘটনা। বেসরকারি কলেজের একটা দায়িত্ব আছে পড়ুয়াদের দেখভাল করার। পুলিশ তো আর বাড়়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় বেরিয়ে কোথাও যায়! আমি ঘটনাকে সমর্থন করছি না। অত্যন্ত নিন্দনীয়। যে সেখানে খুশি যেতে পারে। সেটা তার আধিকার। যারা হস্টেলে থাকে তাদের একটা সিস্টেম আছে।' তবে মমতা এদিন পুলিশকেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'পুলিশকে বলেছি সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা জড়িত তাদের কড়া শাস্তি দেঔওয়া হবে। আমরা কোনও ঘটনাকে সমর্থন করি না। কোনও ঘটনা ঘধলতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করি। বাংলায় জিরো টলারেন্স নীতি। ' বেসরকারি কলেজগুলির নিরাপত্তা আরও বাড়়ান উচিৎ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দুর্গাপুরের নির্যাতিতা

দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতা ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। কলেজের হোস্টেলে থাকেন। ঘটনার অর্থাৎ ১০ অক্টোবর রাতে বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময় পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। বেসরকারি কলেজ থেকে ক্রাইম সিনের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জন হল অপু বাউড়ি, শেখ ফিরদৌস, শেখ রিয়াজউদ্দিন। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শেখ নাসিরউদ্দিন ওরফে সম্রাটকে। মূল অভিযুক্ত সফিকুল শেখ পলাতক। নির্যাতিতা তরুণী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।