সংক্ষিপ্ত

“রাজ্যের সরকার একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত, কেন্দ্রের সরকার আরেকটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের উন্নয়ন,” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঐক্যের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। 

৯ জানুয়ারি, সোমবার কলকাতায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উন্নয়নকারী সম্মেলনের আলোচনা সভার সূচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়, ডিজিটাল ফিন্যান্স সিস্টেম। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে জি ২০ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের শুরুতেই দেশ-বিদেশের সকল বিশেষজ্ঞদের পশ্চিমবঙ্গে আসার আমন্ত্রণ জানালেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গত বছর (২০২২ সালে) নভেম্বর মাসে আমাদের রাজ্যে আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৭৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। আবার আমাদের সরকার পরিচালিত বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে ৪৬টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। বিস্তারিত না বললেও এই বিষয়গুলি আপনাদের জানাতে চাই।” আন্তর্জাতিক অতিথিদের বাংলায় আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ভারতের সংস্কৃতির কেন্দ্র হল বাংলা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে হল বাংলা। এছাড়া ভুটান, নেপাল, চিন, থাইল্যান্ড, মায়ানমারেরও গেটওয়ে হল বাংলা। তাই আমার রাজ্যে আসুন। আমাদের দেশে আসুন।” বাংলায় শিল্প, পর্যটন ইত্যাদি বাণিজ্যের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে, এই হিসেবে এ রাজ্যে বিনিয়োগেরও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।


 

ঐক্যের বার্তা দিয়ে তিনি জানান, ‘‘সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ছাড়া দেশ বা পৃথিবীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। বৃহৎ গণতন্ত্রে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যের সরকার একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত, কেন্দ্রের সরকার আরেকটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের উন্নয়ন।” নিজের বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি বিভেদ করি না। গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি। আপনারা যখন এখানে এসেছেন, তখন এই বাংলা আপনারও। এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে, এই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।”


 

বাংলার উন্নয়ন হয় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, এর খতিয়ান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এরাজ্যে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন- সমস্ত জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল ছাত্ররা স্কলারশিপ পায়। আমরা সমস্ত ছাত্রদের স্মার্ট ফোন দিয়েছি। মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হয়েছ এবং মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যায়। মুখমন্ত্রীর স্ব-পরিকল্পিত কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছে এবং কলকাতার ইকো পার্ক, ওয়াক্স মিউজিয়াম বিশ্বে সমাদৃত বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যে কর্মসংস্থান, GDP বেড়েছে দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এমএসএমই ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য দেশে প্রথম। রাজ্যে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। ৪ গুণ GDP বেড়েছে।” ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প যে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে, সেকথাও জি ২০ সম্মেলনের মঞ্চে তুলে ধরেছেন তিনি।




আরও পড়ুন-
শহরে আসছেন নাড্ডা ও মোহন ভাগবত, চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে গেল ‘দিদির দূত’, সেরা ১০টি খবর এক ঝলকে
চুরি হয়ে যেতে পারে বিশ্বের ২০ কোটি মানুষের ব্যাঙ্কের টাকা! টুইটার হ্যাক হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষকদের