সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার ভার্চুয়াল মিটিং-এ হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, বেআইনি বাজি উদ্ধারে বার বার অভিযান চালাতে হবে।
শনিবার এগরা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারই এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চান মুখ্যসচিব। এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর এগড়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শুক্রবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞেস করেন বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত কতদূর? কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেয়াইনি বাজি উদ্ধারে? এখানেই শেষ নয়, জেলার গোয়েন্দা বিভাগকেও বেআইনি বাজি তৈরি নিয়ে খোঁজখবর বাড়ানোরও নির্দেশ দেন তিনি।
শুক্রবার ভার্চুয়াল মিটিং-এ হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, বেআইনি বাজি উদ্ধারে বার বার অভিযান চালাতে হবে। শুধু তাই নয়। এই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিলে সাধারণ মানুষকে পুরস্কৃত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পরিবেশ দপ্তর এই পুরস্কার দেবে। এই সংক্রান্ত বিষয় পুলিশ প্রশাসনকে পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতেও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত গ্রেফতার হওয়ার একদিনের মাথায়ই মৃত্যু হল এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। বিস্ফোরণে গুরুতরভাবে জখম হয়ে কটকের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে গ্রেফতারির পরও তাকে কটক হাসপাতালেই রাখা হয়। শুক্রবার কটকের রুদ্র হাসপাতালে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারই এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ছেলে ও ভাইপোকেও। এগরা বিস্ফোরণের তিন দিনের মাথায়ই মৃত্যু হল মূল অভিযুক্তের। এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনার দু'দিনের মাথায় ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপ্রসাদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে। বৃহস্পতিবার কটকের হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় তাঁকে। সিআইডির দাবি, বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। সেই অবস্থাতেই বাইকে করে এগড়া থেকে ওড়িশার দিকে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলেও। ওড়িশায় এসে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ভানু।