- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- একটা টাকাও এদিক ওদিক না হয়! ১২ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ শুরুর আগেই কড়া নির্দেশ নবান্নর
একটা টাকাও এদিক ওদিক না হয়! ১২ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ শুরুর আগেই কড়া নির্দেশ নবান্নর
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। তাই দাম বাড়তে পারে বা কালোবাজারি হতে পারে নির্মাণ সামগ্রীর। এমনই আশঙ্কা করছে নবান্ন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিডিও-দের।

বাংলার বাড়ি প্রকল্প
কেন্দ্রের আবাস যোজনা টাকা আসেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্য থেকেই এই প্রকল্প চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে।
টাকা প্রাপ্ত
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে প্রথম দফাতেই ১২ লক্ষ্য উপভোক্তাকে টাকা পাঠিয়েছে নবান্ন। প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পাওয়ার পরই নির্মাণ কাজ শুরু হওযার মুখে।
১২ লক্ষ বাড়ি
প্রায় একই সঙ্গে তৈরি হতে চলেছে ১২ লক্ষ বাড়ি। এই অবস্থা নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
চাহিদা বাড়বে
একই সঙ্গে ১২ লক্ষের বাড়ি তৈরি হওয়ার কাজ শুরু হলে চাহিদা বাড়বে রাজমিস্ত্রির, তেমনই চাহিদা বাড়বে নির্মাণসামগ্রীর। আর এই চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দাম বিক্রেতারা যাতে না বাড়িয়ে ফেলতে পারে তার জন্য তৎপর নবান্ন।
বিডিও-দের নির্দেশ
নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাতে কালোবাজারি না হয় তার জন্য প্রথম থেকেই বিডিওদের নজরদারি দিতে বলেছে নবান্ন।
সরকারের লক্ষ্য
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে সিমেন্ট, ইট, লোহা-সহ নির্মাণ সামগ্রী পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে এই উদ্যোগ নবান্নর। ডিলারদের সঙ্গে স্থানীয় বিডিওদের কথা বলতে হবে বলেও নির্দেশ গিয়েছে।
প্রথম কিস্তি
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অধীনে প্রথম কিস্তিকে ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে ৬০ হাজার টাকা।
জেলা শাসকের নির্দেশ
বুধবারই চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। আর এই চিঠির সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে এই সংক্রান্ত নিয়মাবলি । এসওপি অনুযায়ী ৩-৬ মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে হবে
দ্বিতীয় কিস্তি
প্রথম পর্যায়ের কাজ সঠিকভাবে হলে তবেই পাওয়া যাবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। আর এই টাকা পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে বাড়ি।
টাকার সঠিক ব্যবহার
রাজ্যের দেওয়া টাকা যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তার জন্য কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট ব্লক ও পঞ্চায়েতকে প্রত্যেক মাসে একবার করে বাড়ি তৈরির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আর বিডিও অফিসে এই বিষয়ে কন্ট্রোল রুম খুলতে বলা হয়েছে।