West Bengal News: হুগলিতে ফের জোড়া রহস্য মৃত্যু! ঘর থেকে উদ্ধার যুগলের দেহ। নিছক মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Hooghly News: হুগলির বৈদ্যবাটিতে সীতারাম বাগান এলকায় রহস্যজনক মৃত্যু যুগলের! মৃতদের নাম মনীশ ভাদুড়ী(৩৫) ও অপর্ণা মাঝি(৩২)। বৃহস্পতিবার ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা। বৈদ্যবাটি রাজার বাগানে মনীশের বাড়ি আছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন বছর ধরে সীতারামবাগানে ভাড়া ছিলেন দুজনেই। স্থানীয়রা জানান রাত তিনটে নাগাদ চিৎকার শুনতে পান তারা। তারপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে একজন এবং ঘরের বাইরে পড়ে রয়েছে অন্যজন। ওই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ তারা ছটফট করেন।রাজার বাগানে মনীশের বাড়ির লোককে খবর দেন প্রতিবেশি।তারাই পুলিশ ডাকে।পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে।
মনীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা পরিচারিকার কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তারা এক সঙ্গে থাকতেন। দুজনে সকালে কাজে বেরিয়ে যেত। রাতে বাড়ি ফিরত। কি ভাবে মৃত্যু তদন্তে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে আসেন চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস। এসিপি শুভঙ্কর বিশ্বাস , শ্রীরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারীক। বাইরে থেকে কেউ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কসবা ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এবং ওই কলেজেরই প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্রর একের পর এক কীর্তি সামনে আসছে। কীভাবে দিনের পর দিন কলেজে রাজত্ব চালাতেন, ক্যাম্পাসের ভিতর ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন, বেরিয়ে আসছে সেই সকল তথ্য।
এবার আরও এক ছাত্রী ধৃতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনল। সে জানিয়েছে, একটা মেয়ের শরীরে যতটুকু মর্যাদা থাকে, তার কিছুই হয়তো ছিব না। অর্ধেক জানা ছেঁড়া ছিল, বেশিরভাগ টেনে খুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই তরুণী জানায়, ২০২৩ সালে একটি কলেজ পিকনিকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন মনোজিৎ।
ছাত্রী বলেন, ‘’মনোজিতের কথাতেই মদের ব্যবস্থা করা ছিল। একটি ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে শুনতে পাই কেউ একজন ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। হালকা আলোয় বুঝতে পারি সে মনোজিৎ।''
গা শিউরে ওঠে। সেই মুহূর্তের কথা মনে করে কারে ছাত্রী বলেন, ‘’শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আমার দিকে এগিয়ে আসে। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল সে সম্পূর্ণ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আছে। তখন তাঁকে বলি যে দাদা দরজা বন্ধ কোরো না, আমি বাইরে বেরোব। কিন্তু, সে আমার কথা অগ্রাহ্য করেই আমাকে ঠেলে ফেলে দেয়, গলার মধ্যে কামড়াতে শুরু করে, আমার শরীর নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে। এমনকী, বুকের ভিতর হাত ঢুকিয়ে অন্তর্বাস ছিঁড়ে দেয়।''
মনোজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলে, ‘’আমার বাবার নাম বলা হয়। আমার বোন কোন স্কুলে পড়ে টাও বলে। হুমকি দেওয়া হয় দু দিমিনট লাগবে না বাবা-মায়ের ঠিকানা খুঁজতে। তারপর আমাকে বলা হয়, এগুলো যদি না চাস যেভাবে আমি ছুঁচ্ছি আমাকে ছুঁতে দে।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


