সংক্ষিপ্ত
আগ্রা, বেঙ্গালুরুর পর এবার বিহার এবং কলকাতা। সোমবার সকালেই মোট ৫ জন বিদেশী নাগরিকের শারীরিক পরীক্ষা করে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস।
বিশ্বের বহু দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। ভারতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। আপাতত স্থিতিশীল থাকলেও দেশের কোভিড পরিস্থিতির যাতে কোনওভাবেই অবনতি না হয় সেজন্য তৎপর প্রশাসন। রবিবারই চিন থেকে আগত এক প্রবাসীর দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে ভারতে। এবার সেই আতঙ্ক ছড়াল কলকাতাতেও। জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে কলকাতায় আসা এক মহিলা নাগরিকের দেহে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাস। বিমানবন্দরে তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেখানে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তড়িঘড়ি তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই কোয়ারেন্টাইন থাকবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কুয়ালালামপুর থেকে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন ওই বিদেশিনী। ৪৮ বছরের ওই মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্সে বেলেঘাটা আই ডির জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় এবং পরে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়। কোভিডের কোন ভ্যারিয়েন্টে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানার জন্য জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। করোনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে, আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে ওই মহিলার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে ভর্তি করা হচ্ছে আইবি ২ ওয়ার্ডে। তাঁর সংস্পর্শে আসা ৩৩ জন যাত্রীকেও আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আপাতত পশ্চিমবঙ্গের কোভিড পরিস্থিতি অবশ্য অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। গতকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন নয় জন। ওই দিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ জন। আগের দিনের নিরিখে কোভিড সংক্রমণ বেড়েছে তিন জন।
অন্যদিকে, বিহারের বুদ্ধগয়ায় যাওয়ার জন্য তাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে আগত ৪ বিদেশি তীর্থযাত্রীর দেহে কোভিডের উপসর্গ ধরা পড়েছে। সোমবার এ খবর জানিয়েছেন বিহারের গয়া জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। গয়া বিমানবন্দরে পা আসার পর নিয়মানুযায়ী সমস্ত যাত্রীর কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ওই ৪ জনের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। আক্রান্ত যাত্রীদের প্রত্যেকেরই বয়স ৩৫ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। ওই যাত্রীরা যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানেই তাঁদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে।
আজ, কোভিড সম্পর্কে তৎপর হতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে মক ড্রিলিং। তার আগেই রাজ্যের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য যাতে হাসপাতালগুলি প্রস্তুত থাকে এবং প্রত্যেক চিকিৎসাকেন্দ্রে যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত রাখা হয়, সেই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন-
কোভিড আতঙ্কের মধ্যেই কলকাতায় বয়ে গেল বড়দিনের জনসমুদ্র, মাস্কবিহীন ভিড় কি গুরুতর আশঙ্কার কারণ?
গঙ্গা সাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের বৈঠক, জানুয়ারিতে স্থান পরিদর্শনে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
দু’হাত পেছনে দিয়ে বড়দিনে খোশ মেজাজে অনুব্রত, চনমনে শরীরে সাংবাদিকদের বলে গেলেন ‘আনন্দ করো’