সংক্ষিপ্ত
হ্যাঁ, আবারও ব্যাটন হয়ত তাঁর কাঁধেই।
বামেদের সম্মেলন মানেই সেখানে উঠে আসে একাধিক বিষয়। সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা তো আছেই। সেইসঙ্গে, রাজ্য এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করে থকেন সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা। কারণ, একটি রাজ্য সম্মেলন মানে প্রতিটি জেলা থেকেই প্রতিনিধিরা সেখানে এসে উপস্থিত হন।
আর এই সম্মেলন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছিল অনেকদিন আগে থেকেই। প্রথমে হয় শাখা অর্থাৎ ব্রাঞ্চ সম্মেলনগুলি। তারপর এরিয়া সম্মেলন এবং সবকটি জেলা সম্মেলন শেষ হওয়ার পর, শুরু হয়েছে এই রাজ্য সম্মেলন। সবথেকে বড় বিষয়, নানা জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনায় কোনওরকম কার্পণ্য করতে চায়নি হগলি জেলা সিপিএম। আক্ষরিক অর্থেই ‘কমরেডশিপ’।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রকাশ কারাত। এছাড়াও বামেদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমএ বেবি, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ একাধিক সিপিএম নেতৃত্ব প্রথমদিন থেকেই উপস্থিত আছেন সম্মেলন প্রক্রিয়ার মধ্যে। তাছাড়া রাজ্য কমিটির নেতারা তো রয়েছেনই। উপস্থিত আছেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও।
অন্যদিকে, সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলনে (CPIM 27th West Bengal State Conference) একাধিক আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে আগামীর রাজনৈতিক পথ এবং কৌশল। ঠিক সেইরকমভাবেই ঠিক হয় যে, দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, রাজ্য সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক! যার কাঁধে থাকবে সেই গুরুদায়িত্ব। এর আগের সম্মেলন মঞ্চ থেকে সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রাক্তন বাম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি আবার ছিলেন একসময়ের দাপুটে যুব নেতা। কিন্তু এবার কী হবে?
বয়স বাড়লেও, দলের সব স্তরেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আলাদা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। শোনা যায়, তিনি নেতা হয়েও সহজে মিশে যেতে পারেন মানুষের মাঝে। খাতায় কলমে বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি না থাকলেও, বামেরা যে লড়াই থেকে সরে আসেনি, তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। আর সেক্ষেত্রে একেবারে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে আগ্রাসী সেলিমকে (Md Salim)। সবথেকে বড় বিষয়, সিপিএম কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে একাধিকবার তাঁকে বাড়তি উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।
নানা আন্দোলন তার প্রমাণও মিলেছে। তাছাড়া বৃহত্তর বাম ঐক্য এবং তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ সব দলকে নিয়ে একসঙ্গে লড়াই করার বার্তাও এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে এবারও রাজ্য সিপিএম-এর ব্যাটন থাকবে মহম্মদ সেলিমের হাতেই। কার্যত, বটবৃক্ষ হয়ে সম্ভবত তিনিই আগলে রাখবেন ‘কমরেডদের’।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।